নাগরিকদের উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের পর সৈন্য পাঠাচ্ছে ব্রিটেনও

(নাগরিকদের উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের পর সৈন্য পাঠাচ্ছে ব্রিটেনও–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যেভাবে ঝড়ের গতিতে তালেবান আফগানিস্তানের একের পর এক বড় বড় প্রাদেশিক শহর কব্জা করছে তাতে রাজধানী কাবুলের পতনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের সিংহভাগ কূটনীতিক এবং মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত সরিয়ে নিতে ৩ হাজার মেরিন সেনাকে কাবুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ বা পেন্টাগন।
এই সৈন্যরা কাবুল বিমানবন্দরে মোতায়েন থাকেবে এবং বিশেষ বিমানে করে মার্কিন নাগরিক এবং কূটনীতিকদের ফিরে আনার কাজে সাহায্য করবে। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস ও বিবিসির।
এদিকে আমেরিকানদের কাছ থেকে ঘোষণা আসার পর ব্রিটেনও জানিয়েছে, কাবুলে ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মী এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের ফিরিয়ে আনায় সাহায্য করতে ৬০০ সৈন্য কাবুলে পাঠানো হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই ব্রিটিশ সরকারে পক্ষ থেকে সব ব্রিটিশ নাগরিককে যতো দ্রুত সম্ভব আফগানিস্তান ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এখনও প্রায় ৪ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক আফগানিস্তানে রয়েছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, আরও অতিরিক্ত ৪ হাজার মার্কিন মেরিন সেনা ওই অঞ্চলে যাচ্ছে যাতে পরিস্থিতি বেগতিক হলে তারা দ্রুত তারা আফগানিস্তানে যেতে পারে। কাবুল থেকে আমেরিকান নাগরিক এবং কূটনীতিকদের জরুরি ভিত্তিতে ফিরিয়ে আনার এই পরিকল্পনা ইঙ্গিত করছে যে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট বাইডেন অনড়।
হোয়াইট হাউজ গতকাল শুক্রবার (১৩ আগস্ট) জানিয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে কাবুল সরকারের পতন হতে পারে বলে আমেরিকানরা আশঙ্কা করছে। আফগানিস্তানের উত্তরের বড় বড় শহর যে গতিতে তালেবান কব্জা করছে এবং যেভাবে আফগান সেনাবাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ছে তাতে বাইডেন সরকার আফগানিস্তান থেকে আমেরিকানদের বের করে আনার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে।
গত বুধবার (১১ আগস্ট) রাত এবং গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে দুদফায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার সিনিয়র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সাথে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে পরামর্শ করেন।
সেখানে আমেরিকান নাগরিক ছাড়াও যেসব আফগান নাগরিক আমেরিকানদের জন্য কাজ করেছে এবং প্রাণের ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের সরিয়ে আনতে বাড়তি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন বাইডেন।
কাবুলে মার্কিন দূতাবাস থেকে গত কয়েকদিন ধরে কয়েক দফায় ফ্লাইট পাওয়া মাত্রই দ্রুত আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য আমেরিকান নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আমেরিকানদের সুরে সুর মিলিয়ে ব্রিটিশ সরকারও জোর দিয়ে বলছে, কাবুলে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার ল্যরি ব্রিসটো এবং অল্প কয়েকজন কর্মকর্তা আফগানিস্তানে রয়ে যাবেন। তবে তারা কাবুলের আরও কোনো সুরক্ষিত জায়গায় চলে যাবেন তারা। (সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস-বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.