নবীগঞ্জেের সাংবাদিক ডাঃ আশিকুল ইসামের ১১তম মৃত্যু বার্ষিক আজ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: মরহুম ডাঃ আশিকুল ইসলাম চৌধুরী, ১১তম মৃত্যু বার্ষিক আজ।  আজ শনিবার বেলা ১১টায় তার নিজ বাসভবনে মিলাদ মাহফিল শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাফেজ মুজাহিদ ইসলামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শহীদ উলাহ মমতাজ মেমোরিয়াল জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল পীর  কামেল পীরজাদা মহিউদ্দিন আহমদ।
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শহীদ উল্লাহ মমতাজ মেমোরিয়াল জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি ক্বারী ডাঃ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী। সম্ভব্য মেম্বার পদপ্রার্থী আ: খালেক চৌধুরী, শিক্ষক আবদুল মোমিন চৌধুরী,সাংবাদিক জুনাইদ চৌধুরী, সানিউর রহমান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হাফেজ মুজাহিদ ইসলাম চৌধুরী, প্রয়াত সাংবাদিক ডাঃ আশিকুল ইসলামের আত্মার শান্তি কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, ডাঃ প্রয়াত সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিকতায় ন্যায় ও নিষ্ঠার আদর্শের প্রতীক হয়ে থাকবেন।
উল্লেখ্য: ২০০৭ সালের ৫ই অক্টোবর দুপুরে নিজ কর্মস্থল থেকে দৈনিক আয়না পত্রিকার কাজ শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে পিছন দিক দিয়ে একটি লেগুনা গাড়ী, পিছন দিক দিয়ে মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে যান,তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে রের্ফাড করা হয়।
সিলেট এম,এ জি ওসমানী মেডিকেলে ৫দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের ছোট ভাই ডাঃ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন -সেদিন সেটস দুর্ঘঠনা ছিল না, সেটা পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। যেহেতু লেগুনাতে কোনো যাত্রী ছিল না, খালি লেগুনা পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে মাঠিতে লুঠিয়ে দেয়।
এদেশে অসংখ্য লেগুনা গাড়ি যাদের ফিটনেসবিহীন, গাড়ী ও ড্রাইভারদের নাই কোনো লাইসেন্স।
এব্যাপরে সড়ক দুর্ঘনার কবল থেকে যেন আর কোনো তাজা প্রাণ অকালে ঝরে না যায়, সেগুলো প্রশাসনের দুষ্টি কামনা করছি। পরিশেষে মুনাজের মাধ্যমে ডাঃ সাংবাদিক আশিকুল ইসলামের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন সবাই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.