বিটিসিস্পোর্টসডেস্ক: আফগানিস্তানের বিপক্ষে অধিনায়ক সাকিবের মাইলস্টোন অর্জনের ম্যাচটি সঙ্গত কারণেই জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবে টাইগাররা। সেই লক্ষ্যেই শারজায় এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করে জাজাই-নবিদের বিপক্ষে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করেন আফগান দুই ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। সাকিবের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে গুরবাজের তোলা সহজ ক্যাচ মাহমুদউল্লাহ মিস করলে হতাশ হয় বাংলাদেশ।
তবে নিজের তৃতীয় ওভারে এসেই আফাগান ওপেনারকে ঠিকই ক্রিজ ছাড়া করেন টি-টোয়েন্টির শীর্ষ উইকেটটেকার। মুশফিকের স্ট্যাম্পিং হয় গুরবাজ ফেরেন ১১ রান করে, ১৮ বল থেকে। যাতে দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর দলীয় ৪৫ রানে জাজাইকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসাইন। ২৬ বলে ৩ চারের মারে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফগান বাঁহাতি ওপেনার।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৩ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬২ রান। মোহাম্মদ নবি ৯ বলে ৮ রান করে সাইফুদ্দিনের বলে লেগ বিফোর হন। ইব্রাহিম জাদরান ২০ রানে ক্রিজে আছেন।
এর আগে শারজাহ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। মোসাদ্দেক হোসাইন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মাহেদি হাসানের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১২৭ রান তুলতে পারে সাকিবের দল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকতের ব্যাট থেকে। তার ৩১ বলের এই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ছিল চারটি চার ও এক মাত্র ছয়ের মার।
এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান। একটি মাত্র চারের মারে ২৭ বলে ওই রান করেন রিয়াদ। আর শেষ দিকে ১২ বলে ১৪ রান আসে শেখ মাহেদির ব্যাট থেকে, দুটি চারের সাহায্যে।
আফগানদের হয়ে এদিন ফারুকি কোনো উইকেট না পেলেও বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেন মূলত দুই স্পিনার মুজিব উর রহমান ও তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান। দুজনেই নেন ৩টি করে উইকেট। মুজিব নেন ১৬ রানে এবং রশিদ নেন ২২ রানে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.