জয়ের জন্য লড়ছে বাংলাদেশ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাটিং ব্যর্থতা আফগানিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। লক্ষ্য দিয়েছে মাত্র ১২৮ রানের। তবে ব্যাটিংটা ভালো না হলেও বল হাতে মোটামুটি ভালো শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসানের হাত ধরে বোলিংয়ে প্রথম সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবের পর আফগান শিবিরে আঘাত হেনেছেন সৈকত।
আফগানিস্তানের দলীয় ১৫ রানে রহমতউল্লাহ গুরবাজকে বিদায় করেছেন সাকিব। ১৮ বলে ১১ রান করেছেন আফগান ওপেনার। আরেক ওপেনার জাজাইকে ফিরিয়েছেন সৈকত।
আজ মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এশিয়া কাপ শুরুর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বেশ। বিশেষ করে টপ অর্ডার নিয়ে। কিন্তু সেই ঘুরে-ফিরে এশীয় মঞ্চেও ব্যাটিং নিয়ে ব্যর্থতায় পুড়ল বাংলাদেশ।
ওপেনিংয়ে ভরসা রাখা মোহাম্মদ নাঈম কিংবা এনামুল হক বিজয় কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন নাঈম শেখ। মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হন নাঈম। ফেরার ম্যাচে ৮ বলে ৬ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি ওপেনার।
এর কিছুক্ষণ পরেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার এনামুল। তিনিও কাটা পড়েন মুজিবের বলে। আফগান তারকার অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল পুল করতে গিয়ে লাইন মিস করেন এনামুল। পরে রিভিউ নিয়ে তাঁকে সাজঘরের পথ দেখায় আফগানিস্তান। ১৪ বলে ৫ রান করে থামেন তিনি।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর একটু আগ্রাসী শুরু করেন সাকিব। তাঁকেও থিতু হতে দিলেন না মুজিব। রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করে সাকিবকে বিপদে ফেলে দেন তিনি। তাঁর বল সাকিবকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৯ বলে ১১ রানে আউট সাকিব।
পাওয়ার প্লেতে মোটেই পাওয়ার দেখা গেলো না এনামুল-সাকিবদের। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে করে স্রেফ ২৮। চরম বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারলেন না মুশফিকও। নিজের প্রথম ওভারে এসেই তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান। আফগান তারকার বল মূলত ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। তবে তাঁর ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে বল ভেতরে ঢুকে স্পর্শ করে প্যাডে। ৪ বলে ১ রান করেই থেমে যান মুশফিক।
এরপর উইকেটে এসে থিতু হওয়ার আভাস দেন আফিফ হোসেন। কিন্তু পারলেন না ইনিংস বড় করতে। তিনিও পড়েন রশিদের এলবির ফাঁদে। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর শেষ দিকে সৈকতের ব্যাটে কোনো মতে ১২৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। এরপর বাকিদের নিয়ে কোনো রকম মান বাঁচায় সাকিব আল হাসানের দল। ইনিংস শেষে ৩১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সৈকত।
আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। ২২রান খরচায় রশিদ খান নেন সমান তিনটি উইকেট। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.