নড়িয়াতে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের নড়িয়াতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬ টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। এতে অন্তত ২ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নড়িয়া বাজারের বড় ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে বাজারের বড় ব্রিজ রোড এলাকার মাহবুব আলমের ব্যাটারির দোকান থেকে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত ঘটে। পরে সেই আগুন মুহূর্তের মধ্যেই আশেপাশে থাকা অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
খবর পেয়ে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই বাজারের মাহবুব আলমের ব্যাটারির দোকান, আক্তার হোসেনের ঔষধের দোকান, ইদ্রিস আলীর ফার্নিচারের দোকান, বাবুল শেখের এসি ফ্রিজ মেরামতের দোকান, নাসির শেখের থাই ও অ্যালুমিনিয়ামের দোকান এবং হিরণ মোল্লার ফ্লেক্সি লোডের দোকানসহ ৬ টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ফার্মেসী ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার ও ওষুধের দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিলো। অনেক কষ্ট করে তিলে তিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করিয়েছিলাম। আগুনে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেলো। সরকারের সাহায্য ছাড়া আমার আর কোনো বাঁচার পথ নেই। গতকালকেও কিস্তি থেকে টাকা এনে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ রেখেছি।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বাবুল শেখ বিটিসি নিউজকে  বলেন, খবর পেয়ে আমি বাজারে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার দোকানের ফ্রিজসহ সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আমার মতো ৬ জন ব্যবসায়ীর এই ক্ষতি হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানাই।
এ বিষয়ে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বিটিসি নিউজকে  জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ব্যাটারির দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্টিফিকেট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কাছাকাছি মসজিদের একটি বড় পুকুর থাকায় দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা গিয়েছে। তাই অন্য দোকানগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। নয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত, ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল আরও বেশী। তবে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই মূহুর্তে বলা কঠিন।
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বিটিসি নিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে সরকারি ভাবে সহায়তা করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর শরীয়তপুর প্রতিনিধি মো. রেজাউল করিম (রেজা)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.