নওয়াজ কি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই জোট সরকার গঠনের তৎপরতা শুরু করে দলগুলো।
নির্বাচনের পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার পিএমএল-এন, পিপিপিসহ সমমনা দলগুলো নতুন জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়। 
সূত্র জানিয়েছে, সরকার গঠনের পর ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হতে পারে। এটা সামনে রেখে জাতীয় পরিষদ সচিবালয় কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের নতুন সরকারে মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফের ভূমিকা কী হবে? এমন প্রশ্ন ঘুরেফিরে সামনে এসেছে।
এর জবাব দিয়েছেন, নওয়াজের মেয়ে ও পিএমএল-এনের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ। মরিয়মকে পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে নওয়াজের দল।
বুধবার এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন মরিয়ম। পোস্টে মরিয়ম জানান, আগামী পাঁচ বছর সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরছেন না নওয়াজ শরিফ। পিএমএল-এনের নেতৃত্বে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে গঠিত হতে যাওয়া সরকারে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করবেন তিনি।
মরিয়ম আরও লিখেছেন, নওয়াজের নেতৃত্বে তিনটি প্রদেশের মানুষের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে পিএমএল-এন।
নিজেকে ও চাচা শাহবাজ শরিফকে ‘নওয়াজের সৈনিক’ উল্লেখ করে মরিয়ম বলেন, শাহবাজ শরিফ আর আমি তার (নওয়াজ) সৈনিক। আমরা তার নির্দেশ মেনে এবং তার নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে কাজ করব। আল্লাহ আমাদের সফলতা দান করুন। আমিন।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১ আসন জিতেছে। এর মধ্যে ৯৩ জনই ইমরান খান ও তার দল পিটিআইসমর্থিত প্রার্থী।
নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসন পেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৪ আসন।
এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট -এমকিউএম ১৭, জামিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) তিনটি। এবং বাকি আসন বিভিন্ন ছোট দল জিতেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.