নওগাঁয় বালুমহাল ইজারায় অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে দ্বিতীয় দরদাতা স্থানীয় এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার এর এপিএস সাঈদ হাসানকে বালুমহল ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে সরকার জেলার মহাদেবপুর উপজেলার আত্রাই নদীর বালুমহাল থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে শহরের ফুড প্যালেস হোটেলে সর্বোচ্চ প্রথম দরদাতা মাসুদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি ওই ইজারা বাতিল করে বালুমহালটি সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

ভূক্তভোগী মাসুদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, জেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী রেজাউল করিম ও দ্বিতীয় দরদাতার সাথে যোগসাজস করে আমার সিডিউলে ঘসামাজা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কৌশলে জেল হাজতে পাঠিয়ে ইজারা দানের কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতাকে ওই বালুমহাল ইজারা প্রদান করা হয়। সিডিউলে কোন টেম্পারিং করা না হলেও তারা কথিত টেম্পারিং এর অভিযোগ উত্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে। তিনটি সিডিউল জমা পড়ে তার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা আমি মেসার্স এমআর জে ইন্টারপ্রাইজ এক কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ৫৭১ টাকা, দ্বিতীয় দরদাতা সাইদ হাসান এক কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৫শ টাকা এবং তৃতীয় দরদাতা মোয়াজ্জেম হোসেন এক কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

মাসুদুর রহমান বলেন, আমি সিডিউলে কোন ঘষামাঝা বা টেম্পারিং করিনি। এতে অফিসের কেউ যোগসাজস করে সিডিউল টেম্পারিং করে থাকতে পারে। কারন টেন্ডার সিডিউল ওপেনিং এর দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা উপস্থিত থাকলেও তিনি ওই দিন সিডিউল টেম্পারিং এর কোন অভিযোগ উত্থাপন করেননি। এছাড়া টেন্ডারের সিডিউল মূল্যায়ন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার। কিন্তু এক্ষেত্রে টেন্ডার ওপেনিং এর একদিন পর টেন্ডারে অংশগ্রহনকারীদের অভিযোগ আমলে নেয়ার বিষয়টিও নিয়ে রহস্য রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষ পর্যায়ে দ্বিতীয় দরদাতা সাঈদ হাসানের লোকজন অতর্কিত তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে বেদম মারপিট করে বলে তিনি অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কিমিটির সহ-সভাপতি আপেল মাহমুদ, যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ, রিপন বিশ্বাস ও শ্রমীক নেতা সাজু আহমেদ প্রমুখ।

এবিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশিদ বলেন, মাসুদুর রহমানের সিডিউলে জালিয়াতি ধরা পড়েছে এবং তা ফরেনসিক ল্যাবরেটরি কর্ত্তৃক প্রমাণিত হওয়ার পর তার দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর সরকার নির্ধারিত মূল্যের মধ্যে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ দরদাতা থাকায় তাকে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা যোগসাজসের কোন সুযোগ নেই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নওগাঁ প্রতিনিধি মো: আব্বাস আলী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.