নওগাঁর আত্রাইয়ের পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম মহাপ্রয়াণ দিবস পালিত


নওগাঁ প্রতিনিধি:  রবীন্দ্র গবেষক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, একা খেলে পেট ভরে। আর দশে খেলে আত্মীয়তা বাড়ে। মুক্তিযুদ্ধে আমরা সবাই ঝাপিয়ে পড়েছিলাম বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আর স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে পারছি।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নওগাঁর আত্রাইয়ের পতিসরে আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশার সঞ্জীব কুমার ভাটী।

গর্ভনর আরো বলেন, আমাদের জ্ঞানের ভান্ডারের মুল্যবান বিষয়টি হওয়া দরকার রবীন্দ্রনাথ। তিনি গ্রাম বাংলা উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা ও চিকিৎসা বিষয়ে অনেক উন্নয়ন করেছেন। তিনি ছিলেন প্রজা দরদি।

প্রধান অতিথি ভারতীয় সহকারী হাই কমিশার সঞ্জীব কুমার ভাটী বলেন, গ্রামীন ব্যাংকের যে সুচনা হয়েছে তা রবীন্দ্রনাথের ধারনা থেকেই। কারণ তিনি প্রথম ঋণের ব্যবস্থা চালু করেন। প্রজাদের সুবিধার জন্য তিনি মুলত ঋণের ব্যবস্থা করেছিলেন।

কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এম মতিউর রহমান মামুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. চৌধূরী মো: জাকারিয়া, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা: মোকবুল হোসেন, নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ ইসরাফিল আলম, নওগাঁ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) লিমন রায়, আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছানাউল ইসলাম, রাজশাহী বরেন্দ্র বান্ধব চেয়ারম্যান তপন কুমার সেন, কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব প্রমূখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়ান দিবসে তার কর্মময় জীবনে ‘গ্রামোন্নয়ন ও সমাজ ভাবনা’সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

এসময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নওগাঁ প্রতিনিধি মো: আব্বাস আলী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.