ধ্বংসের পথ তৈরি করে গেছে ভয়ংকর টর্নেডো

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একের পর এক টর্নেডোর আঘাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২১ মে) শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ম্যাসাচুয়েটস রাজ্যের গ্রিনফিল্ড শহরে। উড়ে গেছে টর্নেডোর যাত্রাপথের সব বাড়িঘর। যেন ধ্বংসের পথ তৈরি করে দিয়ে গেছে ছোট শহরটির মধ্য দিয়ে।
শহরের জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, টর্নেডোর আঘাতে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছে। খবর অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি)।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে দুর্ঘটনায় ৪৬ বছর বয়সী মনিকা জামারন মারা গেছেন। টর্নেডোর আসার ঠিক আগের মুহূর্তে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। টর্নেডোয় তার গাড়ি উড়িয়ে নিয়ে দূরে ফেলে দেয়।
টর্নেডোটি একটি জনবসতির ওপর দিয়ে বয়ে যায়। যাত্রাপথে সেটি সব বাড়িঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। গাছপালা গুলোও ভেঙে পড়েছে এবং টর্নেডোর যাত্রাপথের আশপাশের বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি যে এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে সেখানে যেন ধ্বংসের পথ তৈরি করে দিয়ে গেছে।
টর্নেডো এলাকার বিশাল বায়ু টারবাইনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে, যা শহরের বাইরে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। মঙ্গলবার ইলিনয় এবং উইসকনসিনে যে ঝড় আঘাত হেনেছিল, তার ফলে উভয় রাজ্যেই হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।
এই ভয়াবহ টর্নেডোর একজন প্রত্যক্ষদর্শী, গ্রিনফিল্ডের বাসিন্দা, ৩৩ বছর বয়সী কিম্বার্লি এরগিশ এবং তার স্বামী বুধবার চোখের সামনে নিজেদের বাড়ি ধ্বংস হয়ে যেতে দেখেছেন। তারা বলেছেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাদের বাড়িঘর সব উড়ে গিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রাথমিক জরিপগুলো গ্রিনফিল্ডে কমপক্ষে একটি ইএফ-থ্রি টর্নেডোর ইঙ্গিত দিয়েছে, তবে অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন এটি আরও শক্তিশালী র‌্যাংকিংয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.