দুদক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্বহস্ত অভিযোগে সারা নেই! লুটতরাজে যোগসূত্র শিক্ষা কর্মকর্তারাই

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে অধ্যক্ষ ধরণী কান্ত রায়ের একান্ত ওপেন সিক্রেট নিয়োগ বানিজ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার জাড়িত থাকা সত্যতার অভিনব অবৈধ পন্থার সন্ধান মিলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কলেজ কমিটির একজন অভিভাবক সদস্য। সাম্প্রতি বিভিন্ন মেয়াদে নিয়োগ বানিজ্যের অবৈধ অর্থ হরিলুট,দায়িত্ব অবহেলাসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ থেকে অভিনব কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ সহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনে স্বহস্তে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন, কেরানীহাট স্কুল এন্ড কলেজ এর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ অভিভাবকরা।
সরেজমিনে বিদ্যালয়টির গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করে বিটিসি নিউজকে বলেন, বিগত দুই বছর ধরে গভর্নিং বডির সভাপতি রাজধানীতে থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ স্বাক্ষরসহ নানাবিধ বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।
এছাড়া বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ বিগত দুই বছর ধরে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনার সভার দৃশ্যমান কোন ভূমিকা নেই এবং বিদ্যালয়টির উন্নয়ন ও বিভিন্ন খাতে জনবল নিয়োগ সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গভর্নিং বডির মিটিং ও সদস্যদের মতামত ছাড়াই অধ্যক্ষ স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়,বিদ্যালয়টির গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলো তে স্বাক্ষর এর জন্য তিনি একাই সভাপতির সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে যোগাযোগ করেন এতে দৃশ্যমান আলোচনা সমালোচনার সামাজিক অবক্ষয়সহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সন্দেহের বীজ বাসা বেধেছে।
বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত দুবছর ধরে সভাপতি অনুপস্থিতিতে থাকার কারণে বিদ্যালয়টির উন্নয়নের স্বার্থে আয় ব্যয় সহ রেজিস্টার রেজুলেশন এবং জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত কোন ধরনের তথ্য গভর্নিং বডির সদস্যদের কাছে উপস্থাপন না করা সহ নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির দৃশ্যমান চাঞ্চল্যকর তথ্যের সত্যতার সন্ধান পাওয়া যায়।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯-২০২২ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কোন ধরনের আয় ব্যয় হিসাবে গরমিল,একই ব্যক্তিকে গভর্নিং বডির অনুমতি ছাড়াই ব্যাংক অপারেটর পদে বহাল রাখা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে প্রভাবশালী ক্ষমতা বিস্তার করে জনবল নিয়োগ কাঠামোতে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ সহ হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছে অধ্যক্ষ জনাব ধরণী কান্ত রায়। শুধু তাই নয়,হঠাৎ করে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে দুটি বহুতল অট্টালিকা ও বিদ্যালয়টির বিভিন্ন খাতের অর্থ নিজের ব্যক্তিগত কাজে আত্মসাৎসহ নানা ধরনের অনিয়ম আর দুর্নীতির তথ্যের সন্ধান মিলে, বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ আমীর আলী।
জনবল নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে চার জন নিয়োগ প্রার্থীর কাছে ২৭,৫০০০০ সাতাশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পন্থায় আত্মসাতের অভিযোগ এবং ২৯শে ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে স্থানীয় নিয়োগ প্রার্থী আসাদুজ্জামান মুন্নার কাছ থেকে ৬,৫০,০০০ ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় অধ্যক্ষ কিন্তু ব্যাংক রিসিপে দেখা যায় গরমিল অন্যদিকে রেজিষ্টার খাতায় আয়-ব্যয়ের সঙ্গে রিসিপের কোন ধরনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ০১ জানুয়ারি ২০২০ জীবন চন্দ্রের নিকট ৭,০০,০০০ (সাত লক্ষ) টাকা নিয়ে ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকা রেজিষ্টার খাতায় উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের সোনালী ব্যাংক একাউন্ট নং- ০০২০২৯৫০৯ জমা দেয়, অথচ নিয়োগ প্রার্থী দুই জনের কাছে বেআইনিভাবে ১৪,০০০০০ (চোদ্দ লক্ষ) টাকার কোন ধরনে হিসাব রেজিস্টার্ড রেজুলেশন খাতায় লিপিবদ্ধ নেই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ বিটিসি নিউজকে কোনো তথ্য দিতে রাজি না হলেও জনসম্মুখে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে থাকার পর বিটিসি নিউজের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন এবং অর্থ আত্মসাৎ সহ নানান অনিয়ম-দুর্নীতির প্রশ্নের জবাবে কলেজটির অধ্যক্ষ ধরোনী কান্ত রায় সাজানো মিথ্যা ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে সত্যতা শিকার করেন।
জনবল নিয়োগ এর কয়েক প্রার্থীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা কলেজের উন্নয়ন ফান্ডে জমা দিয়ে,বাকী উদবৃত্ত গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের জনপ্রতি দশ হাজার টাকা মিলঝিল করে দেই।
স্থানীয় ও বোর্ডের সাধারণ অভিভাবক সদস্য শহিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, যে বর্তমান সরকারের ঘোষণা যে কোনো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো রকম লেনদেন সম্পূর্ণ রূপে বে আইনি,সেটা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই হোক বা ব্যাক্তি স্বার্থে,তবু আমাদের এই দেশে বেআইনি ভাবে সবখানেই নিয়োগের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, কিন্তু আইনে বলে নিয়োগ হবে প্রার্থীর যোগ্যতা পরিক্ষা করে, কিন্তু আমাদের দেশে হচ্ছে তার উল্টো টা,দেখলে বা জানলেও বলার কিছুই নেই।
গত ২০২০ সালে মহামারি করোনা সংক্রান্ত জটিলতায় বৃক্ষ রোপনের নামে হরিলুট করেছে অধ্যক্ষ। কলেজ কমিটিকে বৃদ্ধাআঙ্গল দেখিয়ে ১৫-২০ টাকার গাছ ৪০.০০টাকা দরে ভাউচার করা হয়েছে।
কেরানীহাট স্কুল এন্ড কলেজ এর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব রোকসানা বেগম বিটিসি নিউজকে বলেন, তার বিরুদ্ধে গভর্নিং বডির একজন সদস্য লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি অভান্তরিন সমস্যা, দেখি কি করা যায়।
তবে স্থানীয়রা আরো জানায় নিয়োগ বাণিজ্য সহ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা সহ স্থানীদের পেছনেও মোটাঅঙ্কের অর্থ যোগানোও দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.