দিঘলিয়া থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে খুলনা ডিআইজি বরাবর ব্রহ্মগাতী গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত পিটিশন দায়ের 

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রহ্মগাতী নিবাসী মোঃ গোলাম মোস্তফার পুত্র সেনহাটি আলহাজ্ব সরোয়ার খান ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের নামে দিঘলিয়া থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ব্রহ্মগাতী গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত পিটিশন খুলনা ডিআইজিসহ পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী খাদিজা বেগম তার সেনা সদস্য পুত্র ইয়ামিন ও জামাই রমিজুর রহমানের গোপন চক্রান্তে বসতবাড়ি ও জমিজমা দখলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাটে ক্ষান্ত হয়নি। প্রতিপক্ষ গোলাম মোস্তফার কলেজ পড়ুয়া পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে চার্জশিট গঠন করিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ গোলাম মোস্তফা বারবার দিঘলিয়া থানায় গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন অভিযোগ ও জিডি করতে এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। কোর্টে মামলা করায় খাদিজাগং ক্ষুব্ধ হয়ে গোলাম মোস্তফাকে কোর্টের বারান্দায় যাওয়ার আগে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়া এমনকি জীবন নাশেরও হুমকি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, খাদিজার পুত্র ইয়ামিনের বিরুদ্ধে মাদকের মামলার অভিযোগ রয়েছে। খাদিজার জামাই রমিজুর রহমান একজন খারাপ চরিত্রের লোক। তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন থানায় নানা ধরণের মামলা রয়েছে। তারা ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে গোলাম মোস্তফার বাড়ি ভাঙ্গচুর করেছে। তাদের অপরাধ আড়াল করার জন্য খাদিজা তার জামাই রমিজুর রহমানের চক্রান্তে এ মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমন করে জমিজমা দখলে নেওয়ার চক্রান্তে সর্বশান্ত হচ্ছে গোলাম মোস্তফাগং এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রাম নিবাসী মোঃ গোলাম মোস্তফার সাথে তার ছোট ভাই মৃত ইয়ার আলীর স্ত্রী খাদিজা বেগমের বসতবাড়ি ও জমিজমা নিয়ে মামলা চলমান। এ মামলার জের ধরে প্রতিপক্ষকে দমনের উদ্দেশ্য নিয়ে খাদিজা বেগমের  জামাই রমিজুর রহমান (সোহাগ) এর গোপন চক্রান্তে গোলাম মোস্তফার কলেজ পড়ুয়া পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের নামে দিঘলিয়া থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি দায়ের করে। যার নম্বর দিঘলিয়া থানা মামলা নং ১৬, জিআর ৭৬/২৩ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২৩) এর ১০ ধারা, তারিখ ১৬/০৮/২০২৩ ইং। 
গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত পিটিশনে গোলাম মোস্তফার পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মামলার প্রতিপক্ষকে দমন করে বসতবাড়ি ও জমিজমা দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে  জামাই রমিজুর রহমানের গোপন চক্রান্তে মৃত ইয়ার আলীর স্ত্রী খাদিজা বেগমের পক্ষ থেকে গোলাম মোস্তফার পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রামবাসী তাদের আবেদনে উল্লেখ করেছেন তাদের গ্রামে এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান, খাদিজা বেগমের জামাই রমিজুর রহমান খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার নাজিরঘাট মেইন রোডের হোল্ডিং বাসা নং ৭৩ এর বাসিন্দা। উক্ত রমিজুর ওরফে সোহাগ তার এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। সে  একাধিক মেয়েকে বিবাহ করেছে। সে  খাদিজা বেগমের কন্যা রিনাকে বিবাহ করে শাশুড়ির জমিজমা দখলে নেওয়ার মতলবে এ মামলা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সে গত ১৩ আগষ্ট ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী দল নিয়ে গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হামলা ও ভাঙ্গচুর করে। এ সময় গোলাম মোস্তফাসহ বাড়ির সদস্যরা বড়িতে ছিলেন না। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও দিঘলিয়া থানা মামলা গ্রহণ করেনি বলে এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী আরও জানায় বাদী খাদিজা বেগমের পুত্র ইয়ামীন গং এলাকার মাদক আমদানিকারক ও বিক্রেতা। তাদের গোপন চক্রান্তে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এনে বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙ্গচুর, গোলাম মোস্তফার কলেজ পড়ুয়া পুত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইয়ামিন ও সোহাগ গং মামলার আসামীর প্রমাণ পুলিশ হেড কোয়ার্টার ঢাকার স্মারক নং ৪৪.০১.০০০০.০৩০.১০.১২.২২/২৩৮৪, তারিখ ১৯/০৬/২০২২ কেএমপি সদর দপ্তর খুলনার স্মারক নং-(খ-১)=১৩২২ তারিখ ২৯/০৬/২০২২ এবং স্মারক নং-(কেএমপি-অপরাধ)/৮২-২০২২/১৬০৬/ভি,তারিখ ০৪/০৭/২০২২ মূলে ডিবি পুলিশ, কেএমপি খুলনা কর্তৃক ইয়াবাসহ সেনা সদস্য আটক। ইয়ামিনের সাথে গোলাম মোস্তফার দেওয়ানি মামলা চলমান। মামলা নং ১৫২/২০২০ এবং মামলা নং এমপি-৩৩৩/২০২০, ধারা ১৪৪/১৪৫ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খুলনা।
গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হামলা ও ভাঙ্গচুর, তার কলেজ পড়ুয়া পুত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার ব্যাপারে বাদীকে খাদিজার পুত্র সেনা সদস্য ইয়ামিন ও তার জামাই রমিজুর রহমানের পক্ষ থেকে গোলাম মোস্তফা গংদের কোর্টের বারান্দায় হামলা ও ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়া এবং জীবন নাশের হুমকির ব্যাপারে  কথা হয় দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার এর সাথে।
তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বাদী খাদিজা বেগমের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি মামলা নিয়েছি। তদন্তে সত্যতা পেয়েছি দ্রুত চার্জসীট দিয়েছি। ঘটনার আগে বা পরে গোলাম মোস্তফাগং কোনো ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ বা জিডি নিয়ে আমার কাছে আসেনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.