দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকরা বীজতলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে নেমে পড়েছেন কৃষকরা।
দামুড়হুদার বিভিন্ন হাট-বাজারে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। ধানের বীজ নিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য। বীজ ডিলারসহ সার ও কীটনাশক ডিলারের দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলিতে বেড়েছে কৃষকদের উন্নত ফলনশীল জাতের বোরো ধানের বীজ কেনার হিড়িক।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত বোরো ধানের ২৭টি জাতের মধ্যে কৃষকরা যে ধানবীজ থেকে ভাল ফলন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি সেগুলি গ্রহণ করছেন বলে জানা যায়।চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা তৈরিতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না।
জানুয়ারীতে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শেষ হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। ফসল পাওয়া যাবে এপ্রিলে। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম আসার আগেই যেন বোরো ধান কেটে বাড়িতে তোলা যায় এজন্য কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরি করছেন।
কোমরপুর গ্রামের কৃষক মওলা বক্স বিটিসি নিউজকে বলেন, দশ বিঘা জমিতে ধান চাষ করার জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। ভাল ফসল পাবার আশায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কৃষক আব্দুস সালাম বিশ্বাস ও হামিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন,  বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষ করেন, এবারো তারা বোরো ধানের জন্য বীজতলায় বীজ বপন করেছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং রোগ বালাই কম হলে ভাল ফসল পাবেন বলে আশা করছেন।
এ ব্যাপারে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান বিটিসি নিউজকে বলেন, গত বছরের  চেয়ে এবার বোরো চাষ বেশি হবে। কারন ধানের মূল্যে বৃদ্ধি। বর্তমান সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। এতোদিন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান ক্রয় হতো, বর্তমান সিন্ডিকেট ভেঙ্গে লটারির মাধ্যমে ধানক্রয় করছে।আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.