দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কিংবা গ্রাম্য হাটবাজারের মোড়ে একটি ক্যারম বোর্ড নেই এমন এলাকা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এলাকার কিশোর তরুণরা মিলে ক্যারম বোর্ড কিনে সেটিতে খেলছেন দিন রাত্রি। আবার কেউ কেউ দাঁড়িয়ে দেখছেন। এমন দৃশ্য প্রায় চোখে পড়ে। সেই ক্যারম বোর্ড তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে।
দামুড়হুদার কুড়ুল গাছির প্রতাপপুর গ্রামের একটি দোকানে তৈরি ক্যারম বোর্ড যাচ্ছে সারা দেশে। প্রতি সপ্তাহে ৫০/৬০ টি ক্যারম বোর্ড দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন এখানকার কারিগররা।
ক্যারম বোর্ড তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন দামুড়হুদার প্রতাপপুরে তৈরি ক্যারম বোর্ডের গুণগত মান ভালো হওয়ায় সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই কাজে জড়িত প্রায় ৫/৬ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের সড়কের ধারে একটি ক্যারম বোর্ডের কারখানা গড়ে উঠেছে। দোকানে শ্রমিকদের কাজের ব্যস্ততা। কেউ কাঠ সাইজ করছেন, কেউ রঙ করছেন আবার কেউ বা পেরেক ঠুকছেন।
ক্যারম বোর্ড কারিগর সাইদুুুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এই প্রতিষ্ঠানটিি ৫ মাস আগে গড়ে তুলেছি।আমার সঙ্গে ৪/৫জন শ্রমিক ক্যারম বোর্ড তৈবি নিয়ে ব্যস্ত। তারা প্রতিদিন ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান। প্রতিটি ১০০০ হতে ৭০০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। সপ্তাহে এখান থেকে ৫০/৬০ টি ক্যারম বোর্ড দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন। এখানে বেল ও বাবলা কাঠ দিয়ে বোর্ড তৈরি করা হয়। আমাদের তৈরি ক্যারম বোর্ডের গুণগত মান ভালো।
ফলে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্যারম বোর্ডের চাহিদা রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাইকারি বিক্রি করা হয়। প্রতি মাসে আমি এক লাখ টাকার ক্যারম বোর্ড বিক্রি করতে পারি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.