দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ডাব ব্যবসায়ীদের গলাকাটা বাণিজ্য

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: ডাব ব্যবসায়ীদের গলাকাটা বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা গৃহস্থ সমাজ। গ্রাম থেকে নাম মাত্র মূল্যে ডাব কিনে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা মফস্বল বাজারে। দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গৃহস্থবাড়ি মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে রয়েছে নারিকেল গাছ।
সমুদ্রের লবণাক্ত আবহাওয়ায় এসব গাছে ভালই ফলন হয়। সদ্যসমাপ্ত শীতের পর গত কয়েক দিনে গরম বাড়ার সাথে সাথে উপজেলার গ্রাম-গ্রঞ্জে ডাব বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বর্তমানে প্রতিযোগীতা মূলক ভাবে বাড়ছে কচি ডাবের বিকিকিনি। ভ্রাম্যমান ক্রেতারা ভ্যান – করিমন – নসিমন নিয়ে গ্রামের সড়ক ও মেঠো পথে ঘুরে ঘুরে গৃহস্থ বাড়ী ও মসজিদ – শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে  নারকেল গাছ থেকে ডাব কিনে নিচ্ছে।
ক্রেতারা নিজেই দড়ি ও দাঁ নিয়ে গাছে উঠে ডাব পেড়ে নিচ্ছে ও সংগৃহিত এসব ডাব পথচারীরাদের মাঝে সরবরাহ দিচ্ছে। বাজারে প্রচলিত বোতল ও টিনজাত কেমিক্যালযুক্ত বিভিন্ন পানিয়ের পরিবর্তে শতভাগ প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ কঁচিডাব ভোক্তাদের খুবই পছন্দ বলে জানিয়েছেন ডাব ব্যবসায়ীরা।
তাই ক্রেতাদের এ চাহিদা মেটাতে গ্রাম থেকে শতশত ডাব প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে। কাঠফাটা গরমে তৃঞ্চা মেটাতে ডাবের পানি উপদেয় বলে জানান একাধিক গ্রাহক।
ভোক্তদের এ চাহিদাকে পুঁজি করে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০/৫০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে বাজারে। অথচ গ্রামের গৃহস্থদের থেকে ডাব কেনা হচ্ছে প্রতিটি মাত্র ১৫/২০ টাকা হারে। এভাবে গলাকাটা বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে গ্রামের গৃহস্থ ও পথচারী ক্রেতারা। মাঝখান দিয়ে মধ্যস্বত্ত্ব ভোগী দালাল-ফাঁড়িয়া ব্যবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে।
ডাব ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বিটিস নিউজকে বলেন, ৫/৬ মাস আগে থেকেই বিভিন্ন গৃহস্থকে ডাবের জন্য দাদন দিয়ে রেখেছেন, তাই এখন গৃহস্থরা নিজ থেকেই ডাবের দাম কমিয়ে রাখছেন।
কার্পাসডাঙ্গা মাঝ পাড়া মসজিদের সেক্রেটারী আব্দুস সালাম বিশ্বাস বিটিসি নিউজকে বলেন, এভাবে গাছ থেকে কঁচি ডাব ব্যাপক হারে পেড়ে নেয়ার ফলে ভবিষ্যতে ঝুনা নারকেলের সংকট দেখা দেয়ার আশংকা রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.