থাই সেনারা ৫ সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারীকে হত্যা করেছে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের উত্তরে একটি জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধে থাই সামরিক বাহিনী পাঁচ সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারীকে হত্যা করেছে। কর্মকর্তারা শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বলেছেন, মাত্র দুই মাসের মধ্যে এই ধরনের মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা এটা তৃতীয়। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে চিয়াং রাই প্রদেশে এই ঘটনা ঘটেছে যা থাইল্যান্ড, লাওস এবং মিয়ানমারের মধ্যে কুখ্যাত ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ সীমান্ত অঞ্চলের কাছে। এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাদক ব্যবসার একটি লাভজনক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, সেনাবাহিনীর একটি টহল দল পেছনে ব্যাগসহ পাঁচজন সন্দেহভাজন চোরাকারবারি একটি দলের মুখোমুখি হলে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করতে চায় তারা। এ সময় ওই চোরাকারবারি দল তাদের ব্যাগ তল্লাশি করতে দিতে অস্বীকার করলে সেনা সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে।
ফা মুয়াং টাস্ক ফোর্সের একজন কর্মকর্তা মি. প্রেমচাই প্রেমকামল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তে মাদকদ্রব্য খুব প্রচলিত ছিল কিন্তু সম্প্রতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের টহল জোরদারের নির্দেশ দেয় থাই সরকার। টাস্কফোর্স জানিয়েছে, সংঘর্ষ ৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল এবং কোনো সৈন্য আহত হয়নি।
সন্দেহভাজন চোরাকারবারি দলের সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ মেথামফেটামিন ট্যাবলেট এবং একটি বন্দুক উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর টহল দল।
এই সপ্তাহের শুরুতে বন্দুকযুদ্ধের আরও দুটি ঘটনায় ৬ জন মাদক চোরাচালানকারীকে হত্যা করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গেল ডিসেম্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মেথের অবাধে বাণিজ্য চলছে এবং কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে এশিয়ান অঞ্চল জুড়ে রেকর্ড বিলিয়ন মেথামফেটামিন ট্যাবলেট জব্দ করেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রতিবেশী মিয়ানমার বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে এবং এর অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে গেছে, কিন্তু সমস্যাযুক্ত শান রাজ্যে সিন্থেটিক ওষুধের উৎপাদন ইতোমধ্যেই অবৈধভাবে বেড়ে চলেছে। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.