বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাই–কম্বোডিয়া সীমান্তের বিরোধপূর্ণ এলাকায় হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর একটি মূর্তি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে মূর্তিটি ধ্বংস করেছে।
কম্বোডিয়ার প্রেহা ভিহিয়ার প্রদেশের সরকারি মুখপাত্র কিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত বিষ্ণু মূর্তিটি আন সেস এলাকায় কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরেই অবস্থিত ছিল। তার দাবি অনুযায়ী, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) মূর্তিটি ধ্বংস করা হয়।
প্রাদেশিক কর্মকর্তারা জানান, মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ছিল। তবে গুগল ম্যাপসের তথ্য অনুযায়ী, এর অবস্থান সীমান্তরেখা থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে কিম চানপানহা বলেন, বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে উপাস্য প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংস করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলেও থাই সেনাবাহিনী এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিনের সীমান্তবিরোধ চলতি মাসে আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি নিহত এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উভয় দেশই সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছে।
কম্বোডিয়া অভিযোগ করেছে, সংঘর্ষ চলাকালে থাই বাহিনী সীমান্তের কাছে অবস্থিত একাধিক প্রাচীন মন্দির ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক দাবি করেছে, পনম পেন শহর শতাব্দীপ্রাচীন পাথরের স্থাপত্যগুলোর কাছাকাছি সেনা মোতায়েন করেছিল।
এদিকে, থাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে ব্যাক-হো লোডার দিয়ে বিষ্ণু মূর্তিটি ভাঙতে দেখা যায়। বার্তা সংস্থা এএফপি ভিডিওটি এআই শনাক্তকরণ প্রযুক্তি দিয়ে যাচাই করে কোনো ধরনের কৃত্রিম সম্পাদনার প্রমাণ পায়নি।
ভিডিওটি প্রো-ইন্ডিয়ান একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত হয়, যা বুধবারের মধ্যে দুই মিলিয়নের বেশি ভিউ অর্জন করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্বজুড়ে অনুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এবং এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়। ভারত উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে আসা এবং শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে। #















