তানজিদ তামিমের অভিষেক ফিফটিতে সহজ জয় বাংলাদেশের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ব্যাটারদের আধিপত্য। বাড়তি পাওয়া হিসেবে যোগ হয় বাহারি সব শটের উপস্থিতি। খেলাটাই তো ১২০ বলের। বোলারদের ওপর দিয়ে সব সময় স্টিমরোলার চালানোর কত উপায়ই না বের করেন আধুনিক যুগের ব্যাটাররা! পাশের দেশ ভারতে চলমান আইপিএলে এমন কিছুই তো দেখছেন দর্শকরা।
সে রকম ভেবে দর্শকরা যদি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি দেখতে বসেন, চোখ বন্ধ করে বলা যায় নিশ্চিতভাবেই তাঁদের হতাশা চুড়ান্ত রূপ পেয়েছে। বিরক্তও নয় কি? এমনকি বাংলাদেশ ম্যাচটা খুব সহজেই ৮ উইকেটে জিতে যাওয়ার পরও। চট্টগ্রামের উইকেট এমনিতে ব্যাটিং-স্বর্গ হিসেবেই পরিচিত। বিশ্বকাপের আগে ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো উইকেট আর হয় না।
অথচ সেখানেই কিনা বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতে ফিল্ডিং নেন আগে।
নাজমুলের সিদ্ধান্ত একটু অবাক করাই ছিল বটে। এর পেছনে যে কারণটা তিনি জানান, তার সারমর্ম এমন, উইকেট বেশ সতেজ। সঙ্গে কিছু সুইং এবং সিম মুভমেন্টও আছে।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে প্রস্তুতি এবং কিছু জায়গা দেখে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেই দিক চিন্তা করে অন্তত জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে চাইলেই তো এই পরীক্ষাটা বাংলাদেশের ব্যাটাররা দিতেই পারতেন। না দেওয়ার পেছনে প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু করা ছাড়া আর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে যা-ই হোক, সতেজ উইকেটে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররাও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। ১২৪ রানের ভদ্রস্থ চেহারা পাওয়া স্কোরকার্ডটা আরো অনেক আগেই থেমে যেতে পারত। যদি না ৪১ রানে সাত উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অষ্টম উইকেটে বুক চিতিয়ে না লড়তেন ক্লাইভ মাডান্ডে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
দুজনের জুটি থেকে আসে ৭৫ রান।
মাডান্ডে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন। আর মাসাকাদজার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। দুই রানআউটের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বাকি আট উইকেটের ছয়টি ভাগাভাগি করেছেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুজনেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। তিন উইকেট নিয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা রাঙিয়েছেন সাইফউদ্দিন। চার ওভারে ১৫ রান দেন তিনি। জিম্বাবুয়ের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমেও হাবুডুবু খেয়েছে বাংলাদেশ। বে্লজিং মুজারাবানির এক ওভারে দুইবার জীবন পাওয়া অভিষিক্ত ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম অবশ্য পরে নিজেকে গুছিয়ে নেন। কুড়ি-বিশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে করেন হার না মানা ফিফটিও। ৪৭ বলে ৮ চার ও দুই ছক্কায় ৬৭ রানে তিনি অপরাজিত থাকেন। শেষের দিকে ১৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করা তাওহীদ হৃদয়ও ২৮ বল বাকি থাকতে পাওয়া জয়ে রাখেন অবদান।
তবে ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। গতকাল মুজারাবানির বলে আউট হয়েছেন এক রান করে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ডানা মেলতে পারেননি। ২১ রান করতে খেলেন ২৪ বল। আউট হন পেসার লুক জঙ্গির বলে। বাংলাদেশের ইনিংসে দুইবার বৃষ্টি হানা দিয়েছে। প্রথম ধাপে তিন ওভার পরে নামা বৃষ্টিতে ৩৪ মিনিটের মতো বন্ধ ছিল খেলা। দ্বিতীয় ধাপে ৭.২ ওভারে আবার বৃষ্টি নামে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.