তাইওয়ানে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষা সহায়তা প্রদান করার বিষয়টি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাইপে সফররত মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল। স্ব-শাসিত এই দ্বীপটির জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা অনুমোদনের কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বরাদ্দ আইনের অংশ হিসেবে ৪০০ মিলিয়ন সহায়তা অনুমোদন করেছে কংগ্রেস। চীন সরকারের প্রভাব মোকাবিলায় এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রদেশ বলে মনে করে চীন। দেশটি মনে করে, প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তাই প্রতিদিন তাইওয়ানের কাছে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠায় বেইজিং। এভাবে দ্বীপটিতে সামরিক চাপ বাড়ায় তারা।
অন্যান্য দেশের মতো তাইওয়ানকে একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবুও দ্বীপটি যেন নিজেকে রক্ষা করতে পারে তাই সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই না, তাইওয়ানের জন্য সব হুমকিকে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে পশ্চিমা এই দেশটি।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন হাউজ ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশন্স সাবকমিটির চেয়ারম্যান প্রতিনিধি জ্যাক বার্গমান।মার্কিন প্রতিনিধি দলে নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি ডোনাল্ড নরক্রস ও ক্যালিফোর্নিয়া থেকে জিমি প্যানেটাও রয়েছেন। আইন প্রণেতারা বুধবার তাইওয়ানে পৌঁছেছেন এবং শুক্রবার পর্যন্ত থাকবেন।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইন-ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রতিনিধি দলের প্রধান জ্যাক বার্গম্যান বলেছিলেন, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য কৌশলগত সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।
মিশিগানের এই রিপাবলিকান প্রতিনিধি বলেছেন, এই আলোচনায় তাইওয়ান সামুদ্রিক কৌশল এবং চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করার জন্য বাইডেন প্রশাসন ও কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাই ইন-ওয়েন। তিনি বলেছেন, এই সমর্থন তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক শক্তিশালী করবে।
বেইজিংয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টির বিরোধিতা করে চীন।
সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান মাসিক ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা দাবি করছি যুক্তরাষ্ট্র যেন একচীন নীতি মেনে চলে, চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করা থেকে বিরত থাকে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে।
তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই এবং নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট বি-খিম সিয়াও-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তাইওয়ানের নতুন প্রশাসন ২০ মে ক্ষমতা গ্রহণ করবে।
দ্বীপের কাছে চীনের সামরিক ঘাঁটি সম্প্রসারণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাইওয়ান। তবে বলেছে, বেইজিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না তারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.