ডাঃ রাকিব হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলায় পুলিশ পরিদর্শক আসলাম বাহার বুলবুলকে প্রত্যাহার

খুলনা ব্যুরো: ডাঃ রাকিব হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় খুলনা সদর থানার খুলনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। খুলনার চিকিৎসকদের ৭২ ঘন্টায় আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই  তাকে প্রত্যাহার করা হলো।
আজ রবিবার (২১ জুন) খুলনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে রিজার্ভ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। হরিণটানার ওসি আশরাফ হোসেনকে খুলনা থানার ওসি হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে খুলনা গল্লামারীর রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ও বাগেরহাট ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রকিব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত মোট ৬ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন কুদ্দুস, জমির শেখ, খাদিজা, আব্দুর রহিম,আবুল আলী ও গোলাম মোস্তফা।
ইতিমধ্যে প্রধান আসামী জমির শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
উল্লেখ্য, নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে গত ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে গত ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় নেওয়ার পথে গত ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।
এ ঘটনায় মৃত রোগীর স্বজনেরা গত ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. রকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে গত ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত বুধবার (১৭ জুন) নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করা হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.