টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি: আজ রবিবার কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা খালাসের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী গোলাগুলির ঘটনায় দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন চার পুলিশ সদস্য।

ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি বন্দুক, ২৫ রাউন্ড গুলি ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত মাদক কারবারিরা হলেনটেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়া মো. হাশিমের ছেলে হাসান আলী (৩৫) সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. হোসেন প্রকাশ কামাল হোসেন (৩০)

পুলিশ জানায়, আজ রবিবার ভোরে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া সমুদ্র সৈকত  ঝাউবাগান এলাকা দিয়ে আসা ইয়াবার চালান খালাস নিয়ে লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সময় ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ইয়াবা বিক্রেতারা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল তাদের মৃত ঘোষনা করেন।

চিকিৎসক বলেন, সকাল ৭টার দিকে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা বিটিসি নিউজ প্রতিনিধিকে জানান, নিহত হাসান আলী একজন শীর্ষ মাদক কারবারি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করছেন। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ কামিয়েছেন। অস্ত্রধারী হিসেবে এলাকায় তিনি ত্রাস ছিলেন।

আর নিহত কামাল নাজিরপাড়া এলাকার একজন শীর্ষ ডাকাত মাদক বিক্রেতা নুরুল হক ভুট্টোর ভাগিনা। তিনি অস্ত্রের পাহারা দিয়ে ভুট্টোর বড় বড় ইয়াবা চালান পাচার করে আসছেন। তাদের নিহতর খবরে এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিটিসি নিউজ প্রতিনিধিকে  বলেন, নিহত দুই ব্যক্তি তালিকাভুক্ত অস্ত্রধারী মাদক বিক্রেতা। তাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা, শিশু নির্যাতন, হত্যা, মারামারি অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

বিটিসি নিউজকে  ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ঘটনায় আহত এসআই মোহাম্মদ রাজু আহমদ, এসআই মিঠু চন্দ্র ভৌমিক, কনস্টেবল ইব্রাহীম নাজমুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান ওসি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.