টার্গেটগুলো পূরণ করতে পারব জনগণ ভোট দিলে : প্রধানমন্ত্রী

 

ঢাকা প্রতিনিধিআজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষ্য পূরণে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উন্নয়ন থমকে যাবে এমন আশঙ্কা করে তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে আবারো নির্বাচিত করলে এগিয়ে নেয়ার বাকি কাজটুকু শেষ করবে তার সরকার।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সবদিক থেকে দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছিল দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও হাওয়া ভবনকে খুশি না করলে তখন ব্যবসা পাওয়া যেত না। আট বছর পরে সরকার গঠন করে দেখলাম সবদিক থেকে দেশ পিছিয়ে পড়েছে। বিদুৎ উৎপাদন কমে গেছে, সাক্ষরতার হার কমে গেছে, কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, চাঁদাবাজিতে দেশ ভরে গেছে। সেই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে পরিকল্পিতভাবে দেশটা যাতে এগোতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছি।

বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু কৃষির ওপর নির্ভর না করে দেশে শিল্পায়ন যাতে হয়, সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। খাদ্যের যোগানে কৃষির প্রয়োজন রয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ বেসরকারি খাতই পারে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে, উন্নত করতে।

শিল্পকে বহুমুখী করার প্রত্যাশা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার নির্দেশ দিয়েছি। তবে দেখতে হবে কোন অঞ্চলে কোন জিনিসের উৎপাদন বেশি হয় এবং দেশে বিদেশে তার কেমন চাহিদা রয়েছে। সেটাকে বিবেচনায় নিয়েই আমাদের শিল্পায়ন করতে হবে, উৎপাদন করতে হবে এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে হবে। তাহলেই আমাদের শিল্পের বিকাশ হবে।

বিশ্বব্যাপী মন্দা কাটিয়ে ৭.৬ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ- মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে ৮.২৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি হবে। সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী আমরা বিশেষ ১০০ টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। এটা বেসরকারিখাতের জন্য। এতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে, চাকরির সুযোগ হবে।

ডেল্টা প্লানের প্রসঙ্গ টেনে এসময় তিনি আরও বলেন, ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে সেই রূপরেখাও আমরা করেছি। ২০৪১ সালে আমরা ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে আপনারা কাজ করবেন।

ভবিষতে ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে আমরা আামাদের টার্গেটগুলো পূরণ করতে পারব।

প্রধানমন্ত্রীর হাতে সম্মানসূচক ভিশনারী লিডারর্স স্মারক তুলে দেন ডিসিসিআই নেতৃবৃন্দ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.