টানা বর্ষণে শেরপুরে দশানী নদীভাঙনে হুমকিতে তীরবর্তী এলাকা

শেরপুর প্রতিনিধি: টানা বর্ষণে শেরপুরে দশানী নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী এলাকা। ইতোমধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার ভাঙনে বাড়ি, বৈদ্যুতিক লাইন, শতাধিক একর আবাদি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া হুমকিতে আছে ৪০ বছরের পুরনো বাজার, এলাকার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদসহ শতাধিক বাড়িঘর।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক বছরের ভাঙনে মূল নদীর গভীরতা কমে গতিপথ এখন লোকালয়ের দিকে। এতে টানা এক সপ্তাহের ব্যবধানে মূল নদী থেকে শতাধিক মিটার ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যন্ত এই চরের ক্রষকের ধান ও সবজিক্ষেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। টিউবয়েল ও টয়লেট নদীতে চলে যাওয়ায় কয়েকটি পরিবারের নিরাপদ পানির অভাব তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি পরিবার বাড়ি সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে শক্তিশালী পাইলিং করে স্থায়ী বাঁধ দিয়ে ৭ নম্বর চর এলাকাকে রক্ষা করার দাবি স্থানীয়দের।
১ নম্বর ওয়ার্ডেও সাবের মেম্বার বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার বাড়ি এই বার নিয়ে ৫ বার নদীতে চলে গেল। প্রতিবার নদীর ভাঙনে বাড়ি পেছনের দিকে সরিয়ে নিলেও এবার আর জায়গা নাই। এবার সবটুকু ভাঙলে আমাকে রোহিঙ্গা হতে হবে।
কামারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বিটিসি নিউজকে বলেন, গতবারের ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এনে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আশা করি, এবার ব্যবস্থা হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আমি ৭ নম্বর চর এলাকা নিজে পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর শেরপুর প্রতিনিধি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.