টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রিপল মার্ডার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের বাড়ি থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় চার বছরের এক শিশুকে আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের মা জমেলা বেগম (৬০) তার স্ত্রী সুমি আক্তার (২৬) এবং সুমি আক্তারের সাবেক স্বামী কালিহাতি উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের ভাঙারি ব্যবসায়ী শাহ জালাল (২৮)।
আহত অবস্থায় সুমি আক্তারের চার বছরের শিশু পুত্র সাফিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহত জমেলা বেগমের ভাই মোখলেছ আলী বিটিসি নিউজকে জানান- শাহ জালালের সাথে সুমি এক বছর আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। জয়েন উদ্দিন শিশু সন্তানের দিকে তাকিয়ে সুমিকে ফিরিয়ে এনে আবার সংসার করছিলো। সে কয়েক মাস আগে আবার সৌদি আরব চলে গেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রতিবেশীরা বিটিসি নিউজকে জানায়- জয়েন উদ্দিন বিদেশে চলে যাওয়ার পরেও শাহ জালালের সাথে সুমির যোগাযোগ ছিল। তাদের বিষয়টি নিয়ে আগে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়েছে। সম্পর্কের ফাটল থেকেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বিটিসি নিউজকে জানান-উপজেলার কাশতলা এলাকায় একটি বাড়ি থেকে তিন জনের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। শাশুড়ি জমেলা বেগম, পুত্র বধু সুমি আক্তার এবং শাহ জালাল নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা র্যাব ১২ সিপিসি ৩- টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিটিসি নিউজকে জানান- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত সম্পর্কের দ্বন্দ্ব থেকে এসব হত্যাকান্ড ঘটেছে। তবে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা সেই বিষয়গুলি মাথায় রেখে ছায়া তদন্ত করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি রহমান উজ্জল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.