জেনোফোবিয়া ও ইহুদি বিদ্বেষও মানবতাবিরোধী অপরাধ : এরদোগান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কজেনোফোবিয়া ও ইহুদি বিদ্বেষও মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।
তিনি বলেছেন, আমরা ইসলামফোবিয়াকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে দেখি। অ্যান্টি-সেমিটিজমকেও (ইহুদি বিদ্বেষ) আমরা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে দেখি। বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে ইসলামফোবিয়া, অ্যান্টি-সেমিটিজম এবং জেনোফোবিয়ার (বিদেশিদের প্রতি আতঙ্ক) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সংহতি থাকা দরকার’, যোগ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
আঙ্কারায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ইহুদি ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। খবর ডেইলি সাবাহর।
বৈঠকে তুরস্কের প্রধান ইহুদি ধর্মযাজক ইসাক হালেভা, রাশিয়ার প্রধান ধর্মযাজক বেরেল লাজার ছাড়াও শীর্ষ পর্যায়ের ইহুদি যাজকরা উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে বৈঠকে এরদোগান বলেন, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে তুরস্কের আগ্রহ রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ একসঙ্গে বাস করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইল সরকারের প্রতি তুরস্কের সতর্কতা হলো— তারা যেন মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করে।
তুরস্ক-ইসরাইল সম্পর্ক নিয়ে এরদোগান বলেন, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও পর্যটন ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শান্তি প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে ইসরাইলের আন্তরিক ও গঠনমূলক মনোভাব নিঃসন্দেহে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে। মধ্যপ্রাচ্যে নিরপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য ইসরাইল-তুরস্ক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে তুরস্কের ইহুদি সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে এরদোগানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে টুইট করেছে।
ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়, তুরস্কের ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্যরা বেশিরভাগই সেফার্ডিক ইহুদিদের বংশধর, যারা কয়েক শতাব্দী আগে স্পেন থেকে পালিয়ে আসার পর অটোমান সাম্রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের সংখ্যা, আজকাল প্রধানত ইস্তানবুলে কেন্দ্রীভূত। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলে অভিবাসনের কারণে তাদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.