জার্মানিতে মাস্কবিরোধী বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা প্রতিরোধে সরকারী বিধি-নিষেধের বিরোধীতা করে জার্মানিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। রাজধানী বার্লিনের রাস্তায় অবস্থান নেন ৪০ হাজারের বেশী মানুষ।

গতকাল শনিবার (২৯ আগষ্ট) দিনভর সামাজিক দুরত্ব না মেনেই চলে বিক্ষোভ। এসময় পুলিশ অন্তত ৩০০ জনকে আটক করে।

আবারও জার্মানির বার্লিনের রাস্তায় নামল হাজার হাজার মানুষ। করোনা মাহামারী মোকাবিলায় মের্কেল সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের বিরোধিতার অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার (২৯ আগষ্ট) রাজপথকেই বেছে নেন এইসব বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে দেশটিতে ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই ভাইরাস যেন প্রথম দিককার মত ভয়াবহভাবে না ছড়ায় সেজন্য সবধরনের গণজমায়েত আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই সাথে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ নানা বিধি নিষেধও দেয় জার্মান সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সকল পদক্ষেপের বিরোধীতা করে বিক্ষোভে অংশ নেন কমপক্ষে ৩৮ হাজার মানুষ । রাজধানীর ব্র্যান্ডেনবুর্গ গেইট, জিগেল জয়লে ও উন্টার ডেন লিন্ডেনে করোনায় আরোপ করা সবরকমের বিধি নিষেধ এখনি তুলে নেয়ার দাবী জানান বিক্ষোভকারীরা।

তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি করোনা এখন সাধারণ ফ্লু এর পর্যায়ে চলে গেছে। এর জন্য এত বিধি-নিষেধের কোন প্রয়োজন দেখছি না। সরকার অহেতুক করোনার ভয় দেখিয়ে আমাদের স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর সেজন্যই আমরা বিক্ষোভ করছি।’

শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরিধান করার এমন শর্তে বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছিলো প্রশাসন।

বিক্ষোভকারীরা এর কোনটিই না মানায় বিক্ষোভে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। বেধে যায় পুলিশের সাথে বিক্ষেভকারীদের সাথে সংঘর্ষ।

পার্লামেন্ট ভবনেও ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ। এসময় আটক করা হয় কমপক্ষে তিনশ বিক্ষোভকারীকে।

এই অবস্থায় নিয়মের তোয়াক্কা না করে এমন গণ জমায়েতে করোনা সংক্রমণ আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছে দেশটির সরকার ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। #

 

 

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.