জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই, তারা বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী : নজরুল

ঢাকা প্রতিনিধিআজ শনিবার বেলা ৩টায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল আগারগাওয়ে কমিশন কার্যালয়ে গণপ্রতিত্ব আদেশ ১৯৭২এর(২) অনুচ্ছেদের বিধান মতে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আদালতের নিদেশে সাময়িক স্থগিতকৃত আসন সমূহে নির্বাচন স্থগিত অথবা বিএনপি দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে ইসিতে আবেদন করার পর সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচনে আমাদের জামায়াতের কোনও প্রার্থী নেই, যা আছে সব বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াত নেতাদের পদ-পদবি তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়েব সাইটে পদ-পদবি থাকুক। আপনারাও যদি আমাদের কাছে মনোনয়ন চান, আমরা দিতে পারি। কোনো ওয়েবসাইটে আপনার নাম কীভাবে আছে সেটা পরের ব্যাপার। আমরা আইনের মাধ্যমে দিতে পারি কি-না সেটা হলো বিষয়। জামায়াত কোনো নিবন্ধিত দল নয়। তিনি বলেন, কারা কারা জামায়াত করে সেই তালিকাও আমাদের কাছে নাই। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তারা আমাদের দলের প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছে। এটা যদি অবৈধ হতো তাহলে নির্বাচন কমিশন আগেই বলত- তাদের প্রার্থিতা অবৈধ। তাদের যদি প্রতীক দেয়া বেআইনি হতো, যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয় তখন নির্বাচন কমিশন কেন প্রতীক বরাদ্দ করল। আওয়ামী লীগ সব সময় বলে নির্বাচন কমিশন যা করে তাই আমরা মেনে নিব, বাধা সৃষ্টি করব না। এখন কেন আওয়ামী লীগ ইসির কাজে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে।তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আদালত ১২-১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব আসনের নির্বাচন স্থগিত রেখে আবার নির্বাচনের দাবি করছি। অথবা এসব আসনে আমাদের প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হোক। নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বৈধতা দেয়ার কারণেই তাদেরকে আমরা মনোনীত করেছি। কমিশন যদি সেই সময় অবৈধ ঘোষণা করত আমরা অন্য প্রার্থী দিতাম।

তিনি আরও বলেন, দেশে নির্বাচনের খেলা চলছে, যা গণতন্ত্রের অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং লজ্জার। নির্বাচনের নামে প্রহসন বন্ধ করতে সরকার ও ইসির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংসদ সদস্যরা স্বপদে বহাল রেখে নির্বাচন করতে পারলে উপজেলা চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ না করে কেন নির্বাচন করতে পারবে না?

তিনি বলেন, সরকার বাধা সৃষ্টি করছে বলেই বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসতে অনীহা প্রকাশ করছে। কারণ ভিসা না দিলে পর্যবেক্ষকরা আসবে কিভাবে।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, বিজনকান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.