জাপানের আরও ৭ লক্ষ ৮১ হাজার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ

ঢাকা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আজ শনিবার (৩১ জুলাই) কোভ্যাক্স কাঠামোর আওতায় জাপানের কাছে থেকে ৭ লক্ষ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণ করেছে। এটা তাদের বাংলাদেশকে দেয়া প্রতিশ্রুত ৩ মিলিয়ন ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানে প্রস্তুতকৃত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের এই চালানটি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর কাছ থেকে গ্রহণ করেন।
আজ শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে এএনএ’র একটি পরিবহন ফ্লাইটে করে টিকাগুলো বাংলাদেশে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই চালানটির জন্য জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কয়েক দফায় টোকিও আরো ৩০ লক্ষাধিক ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পাঠাবে।
তিনি আরো বলেন, অক্সফোর্ড প্রস্তুতকৃত এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে। তাই ভ্যাকসিনের এই চালানটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।
ড. মোমেন বলেন, জাপান আরো প্রায় ৩০.৫ লক্ষ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন পাঠাবে। ৩ আগস্ট এই টিকার তৃতীয় চালান বাংলাদেশে আসবে। এদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ১.২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে।
গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের জন্য ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালানটি পাঠানো প্রত্যক্ষ করতে টোকিওর নিকটস্থ নারিতা বিমানবন্দরে যান। এর আগে ২৪ জুলাই বাংলাদেশ কোভ্যাক্স কাঠামোর আওতায় জাপানের কাছে থেকে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম চালানটি গ্রহণ করে। কোভ্যাক্স- সবার জন্য সমানভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিশ্চিতের লক্ষ্যে গ্যাভি, দি ভ্যাকসিন অ্যালাইয়েন্স পরিচালিত একটি বৈশ্বিক মৈত্রীজোট।
এর আগে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন সূত্র থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটি ভাল অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। পাশাপাশি দেশবাসীর জন্য টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা বাণিজ্যিকভাবেও ভ্যাকসিন ক্রয় করছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.