জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রশ্ন: গাজায় ১৯৬ ত্রাণকর্মী নিহত, কেন?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের চলমান সংঘাতে ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। আমরা জানতে হবে কেন একেকজন কর্মী নিহত হলেন। এসব ঘটনার প্রত্যেকটির স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এই আহ্বান জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েল দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, ইসরায়েলি সরকার ভুল স্বীকার করেছে। কিন্তু মূল সমস্যা কারা ভুল করেছে তা নয়, সমস্যা হলো এসব বারবার ঘটতে দিচ্ছে যে সামরিক কৌশল ও প্রক্রিয়া। এই ভুল সংশোধনের জন্য প্রয়োজন স্বাধীন তদন্ত এবং সরেজমিনে অর্থপূর্ণ ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন।
তবে কারা এই স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করবে তা সম্পর্কে কিছু বলেননি গুতেরেস। 
জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার গাজায় আসন্ন দুর্ভিক্ষ ও ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসবে।
সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেছেন, যখন ত্রাণের দরজা বন্ধ থাকে তখন অনাহারের দ্বার উন্মুক্ত হয়। লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বেশি চরম অনাহারে রয়েছে। গাজার শিশুরা খাদ্য ও পানির অভাবে মারা যাচ্ছে। এটি ধারণাতীত এবং পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব।
সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের গাড়ির বহরে বিমান হামলায় ৭ ত্রাণকর্মী নিহতের পর গাজায় মানবিক সংকট নিয়ে বৈশ্বিক ক্ষোভ জোরালো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড ও কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের একজন দ্বৈত নাগরিক ছিলেন।
শুক্রবার তদন্তের ভিত্তিতে দুই সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে সিনিয়র কমান্ডারদের আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত ও আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যাওয়ার পর এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এটি ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসে এক দিনে সর্বোচ্চ নিহতের ঘটনা। জবাবে গাজায় যে আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরায়েল তা আরও বেশি রক্তক্ষয়ী। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.