জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদকদেশের জন্য কারা কাজ করেছেন, কাদের আত্মত্যাগ আছে, বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের চিনতে ভুল করেন না। কিন্তু আজকের দিনে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রাজা-বাদশাহীর বাসনা জগদ্দল পাথরের মতো পেয়ে বসেছে। তারা গণমানুষের নেতা হতে চান না। বিত্ত-বৈভবের দিকে ছুটছেন।

কিন্তু এদেশের মানুষ আবারো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামান হেনা, জননেতা আতাউর রহমানের চেতনায় জেগে উঠছে। রাজনীতিকে যে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় নষ্ট করা হয়েছিলো, সেই ধারা থেকে বর্তমানে রাজনীতি বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কারো কাছে মাথা নত করিনা।

নিজ অর্থায়নে বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর মত বড় স্থাপনা সম্ভব হয়েছে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী রাজকার আলবদরদের ফাঁসির দাবিতে অগ্নিস্ফুলিংগের মতো গণজাগরণে সেই প্রবল উজ্জ্বল শক্তিকে জাগরিত হতে দেখেছি। জননেতা আতাউর রহমানের মতো মানুষগুলো আমাদের শক্তি জোগায়, পথের দীশা দেয়। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শীতার কারণে তাঁদের কর্ম আজও আমাদের সমৃদ্ধ করছে। মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার পরপরই রাজশাহীতে প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন এই মহান নেতা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের ভূমিকা সেই সাক্ষ্য বহন করে।

আজ রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ তাঁর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সমাবেশ থেকে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।’

আজ শনিবার সন্ধ্যায় সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট প্রেসক্লাব চত্বরে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের যৌথ উদ্যোগে জননেতা আতাউর রহমান স্মরণে আয়োজিত স্মরণ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘মুক্তির দিগন্ত হোক চির অবারিত, শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত মেহনতি মানুষের বিজয় সুনিশ্চিত’ স্লোগানকে সামনে রেখে স্মরণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ-ভাষা আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামের শহীদ এবং জননেতা এম আতাউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ সময় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন- জননেতা এম আতাউর রহমানের রাজনৈতিক শিষ্য কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক এবং প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জননেতা এম আতাউর রহমানের রাজনৈতিক শিষ্য রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য কলামিস্ট মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা জাতীয় চারনেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান পরিবারের সদস্য সমাজসেবী নারনেত্রী শাহীন আকতার রেনী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঢাকায় অবস্থান করায় মোবাইলফোনে স্মরণ সমাবেশে অংশ নেন এবং সমাবেশে যোগদানকারীদের শুভেচ্ছা জানান।

জননেতা আতাউর রহমানের সন্তান রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্ব এবং রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার পরিচালনায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাষাসৈনিক মোশারফ্ফ হোসেন আখুঞ্জি। আলোচনা রাখেন- রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য সমাজগবেষক সাংবাদিক আহমদ সফিউদ্দিন, আজীবন সদস্য গোলাম সারওয়ার, জননেতা এম আতাউর রহমানের শিষ্য মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, আশির দশকের ছাত্রতো জাসদ মহানগর সভাপতি নুরুল ইসলাম হিটলার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান বাবু এবং রাজশাহী মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রিপন।

অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ প্রতাপ মৃধা, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবু সালে মো ফাত্তাহ, জাতীয় পার্টি মহনগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মিন্টু, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন, সমাজউন্নয়ন কর্মী ইকবাল হাসান টাইগার, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন, যুবনেতা আসাদুল হক দুখু, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মৃদুল কুমার সাহা, সাংবাদিক নূরে আসলাম লিটন, শামসুল ইসলাম প্রমুখ। স্মরণ সমাবেশ শেষে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে দরিদ্র অসহায় মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.