জলঢাকায় শুরু হয়েছে আগাম আলুচাষ আবাদ

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:   নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভাসহ  উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে শীতের শুরু তেই ১৩ টি জাতের আলু চাষ আবাদ করছে কৃষক কৃষানীরা। গতবারে আলুর চাষ আবাদ করে বেশে লাভ্যাংশ পাওয়ায় প্রস্তুুতি প্রতিটি কৃষক কৃষাণীর ঘরে।

স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, এ রবি মৌসুমে আলুর আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ শত হেক্টর। ১৩ টি জাতের মধ্যে গ্রানুলা আলুর আবাদ বেশি হয় বলে জানান কৃষিবীদরা।

আজ রোববার  উপজেলার বিভিন্ন  ইউনিয়ন ঘুরে দেখাযায় লেডি গোল্ড জাতের আলুর আবাদ হচ্ছে পরিমানে বেশি। মীরগঞ্জের কৃষক গবীন্দ চন্দ্র, অমল চন্দ্র, অভয় চন্দ্র রায়, সুকুমার রায়, হিরম্ব, সনদ চন্দ্র, দীলিপ চন্দ্র রায় এরা সলকলেই অন্যের জমিতে কায়িক শ্রম দিয়ে পারিশ্রমিক নেন।

তারা জানান, এ জাতের আলুটি যা উৎপাদন হয় তার দ্বিগুন টাকা উঠে আসে। জমির মালিক প্রয়াত রহিম উদ্দীনের ছেলে আমিনুর রহমান বলেন, পূর্বে আমি আলু লাগিয়েছি ৪ বিঘা জমিতে দামও পেয়েছি মোটামুটি। এখন আড়াই বিঘা জমিতে শুরু করলাম। এ আলুটি ৮০-৯০ দিনের মাথায় তোলা হবে এবং বাজার জাত করা হবে।

দেড় বিঘা জমিতে বীজ লাগে ৫ বস্তা অর্থাৎ ৭৫ কেজি।প্রতি বস্তায় কেজি প্রতি দাম ২৩ টাকা মাত্র। বিঘা প্রতি খরচ হয় ১৬ হাজার টাকা। আমার গতবারে আলুর ফলন হয়েছে ৪৬ ধারা সেই আলু ৮ টাকা দেরে বিক্রি করলেও ৩৯ হাজার টাকা চলে এসেছে।

একই কথা জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক কৃষানীরা। জমিতে সার, টিএসপি, পটাশ, এমপিও, জীবসাম, জীন, বুরোন, ম্যাগনেসিয়াম, কৃষকরা নিজ ক্রয়ে এ কীটনাশক গুলো প্রয়োগ করে আলুর ফলন ভালো করে।

কথাগুলো বলেন, উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার গোলাম কিবরিয়া মন্ডল। অনেক কৃষকের ধারনা এজাতের আলুটি উৎপাদন করে খরজে দ্বিগুন টাকা উঠে আসবে। উপজেলা

কৃষি অফিসার শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বিটিসি নিউজকে জানান, কৃষকের কোথায় কোন সমস্যা হলে আমাদেরকে জানা মাত্রই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব এবং মাঠ পর্যায়ে আমাদের মনিটরিং চলমান থাকবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি এরশাদ আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.