জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারী) রাজশাহী অঞ্চলের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের ৩৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

এর আগে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব চত্বরে বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শুরু করা হয়।

এরপর রাজশাহী প্রেসক্লাব চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়।

র‌্যালী শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার পরিচালনায় এ সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন রাশিয়ার লমনোভস্কি স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন শহীদ লেফটেনেন্ট সেলিম মঞ্চ রাজশাহীর সভাপতি প্রকৌশলী শামসুল আলম, স্মৃতি পরিষদের সহঃ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান আলী বরজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, সালাউদ্দীন মিন্টু, রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জননেতা আতাউর রহমান শুধু রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ ছিলেন। রাজশাহী অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার বিস্তারে তার ভূমিকা চিরস্মরণীয়। তিনি আজ নেই, তবে তার স্মৃতিকে ধরে রাখা প্রয়োজন । তারই অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি। তার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সে অনুযায়ী আলোকিত জীবন গড়তে হবে। শিক্ষা নিয়ে নতুন প্রজন্মের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

বক্তারা আরো বলেন, সবাই মিলে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

এ দিনের কর্মসূচিতে রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য গোলাম সারোয়ার, রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জুলফিকার, রাজশাহী বারের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শিরাজী শওকত সালেহিন এলেন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নুরে ইসলাম মিলন, শহীদ পরিবারের সদস্য ডা. রোকনুজ্জামান রিপন, স্মৃতি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক দুখু, প্রচার সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, সদস্য মো. শরিফ উদ্দীন, জামিল হোসেন জনি, আইয়ুব আলী তালুকদার, রাকিবুল হাসান শুভ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আহবায়ক ইউসুফ আলী, কাটাখালি শাখার আহবায়ক খোকনুজ্জামান মাসুদ, হরিয়ান শাখার আহবায়ক আশিফ ইকবাল সুমন, সদস্য আব্দুল মাজেদ, আলামিন হোসেন, আশিক ইকবাল অন্তর, খন্দকার শফিকুল আলম জুয়েল, নাইম আলীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ১৯৮৭ সালের ৫ জানুয়ারি শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত ও মেহনতি মানুষের কথা বলতে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই বছর জননেতা আতাউর রহমানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গণমানুষের প্রাণের এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। সে বছর এ্যাডভোকেট অঙ্কুর সেনকে সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে স্মৃতি পরিষদের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থনীতিসহ জনসাধারণের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করে আসছে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ সংগঠনের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ সম্পৃক্ত রয়েছেন।

বার্তা প্রেরক: আমানুল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ ও সদস্য, রাজশাহী প্রেসক্লাব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.