ছাত্রদল নেতা পলাশ হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
খুলনা ব্যুরো: আজ মঙ্গলবার যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কবির হোসেন পলাশ হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় ৯জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আজ খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোর শহরের ষষ্টিতলা পাড়ার তরিকুল ইসলাম, চাঁচড়া রায়পাড়ার প্রিন্স ওরফে বিহারী প্রিন্স, গাড়িখানা রোডের জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা মানিক, ঘোপ বৌবাজার এলাকার রবিউল শেখ, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের সজল, টুটুল গাজী, বেজপাড়ার টিবি ক্লিনিক এলাকার ফয়সাল গাজী, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শহিদুল ইসলাম খান ওরফে সাইদুল, বাঘারপাড়া উপজেলার বহরমপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শহিদুল ইসলাম।
এরমধ্যে প্রিন্স ওরফে বিহারী প্রিন্স, জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা মানিক, রবিউল শেখ, শহিদুল ইসলাম খান ওরফে সাইদুল, শহিদুল ইসলাম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
মামলায় পূর্ব বারান্দিপাড়া কবরস্থান রোডের রাজ্জাক ফকির ও যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে আল মাসুদ রানা ওরফে মাসুদ খালাস পেয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাকেরিন সুলতানা জানান, গত ১৬ মে এ আদালতে ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরণের মামলার চার্জ গঠন করা হয়। ওই দিন ২১ মে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আদালত। তারপর থেকেই সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তি-তর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। ১১ আসামির মধ্যে ৬ জন কারাগারে রয়েছেন। অপর ৫ জন এখনও পলাতক আছেন।
২০১৩ সালের ৯ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহরের ঈদগাহ মোড়ে মোটরসাইকেলযোগে আসা সন্ত্রাসীরা পলাশকে গুলি ও বোমার আঘাতে হত্যা করেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.