চেয়ারম্যানের বাড়িতে পুলিশের তাণ্ডবের অভিযোগ, এসআই অবরুদ্ধ

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় আসামী ধরার নামে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ সময় অ্যাপায়ন কক্ষের দরজা, বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করাসহ কয়েকজন নারীকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিউর রহমানকে লাঞ্ছিতসহ অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে তিন ঘণ্টা পর মুক্ত হন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিউর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অভিযোগ, অতি উৎসাহী হয়ে আসামী ধরার নামে একজন জনপ্রতিনিধির বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় তাণ্ডব চালিয়েছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিউর রহমান যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তারা।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা বিটিসি নিউজকে জানান, সদর ইউনিয়নের ঘাটকৈর গ্রামের এক নারী একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৎস্যজীবীপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দেন। বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করছিলেন ওই নারী।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে মীমাংসার জন্য দুইপক্ষ বাড়িতে আসেন। এ অবস্থায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রুস্তম আলীকে ডেকে নেই। দুইপক্ষকে নিয়ে অ্যাপায়ন কক্ষে আলোচনা চলাকালে হঠাৎ করেই সাদা পোশাকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিউর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হন। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রুবেল হোসেনকে ধরে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বাধা দিলে কয়েকজন নারীকে হেনস্তা করাসহ ওই কক্ষের বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিউর রহমানকে লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ইউপি সদস্য রুস্তম আলী অভিযোগ করে বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা আসামী ধরার নামে কয়েকজন মহিলার পরনের কাপড় ছিঁড়ে লাঞ্ছিত করে। পরে রুবেল হোসেন ও ওই নারীকে ধরে থানায় নিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ডভুক্ত করে পুলিশ। ’ মামলার আগেই পুলিশি তাণ্ডবের নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় মামলা করেন। মামলার আসামীকে ধরতে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বাড়িতে অভিযান চালান উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিউর রহমান। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নওগাঁ প্রতিনিধি মো: আব্বাস আলী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.