চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার বাজারে হঠাৎই কাঁচামাল সহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি 

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বতর্মানে বাজার মনিটরিং জরুরি হয়ে পড়েছে। যেভাবে এক টাকার পণ্য দুই টাকা নেওয়া হচ্ছে তাতে করে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস। পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারে জিনিসের দাম অনেক ফারাক।
কার্পাসডাঙ্গা কাঁচা বাজারে কৃষক আলু ৪০ কেজি যদি ৩শ টাকা মন বিক্রি করেন। সে আলু খুচরা বাজারে আসতেই ৬শ টাকা অর্থাৎ ১৫ টাকা কেজি হয়ে যায়। ১ মন আলুর হাটের টোল ২০ টাকা,ভ‍্যান ভাড়া ১০ টাকা মোটে ৩০ টাকা খরচ হয়।
কার্পাসডাঙ্গা হাটে যদি ৫ কেজি পিঁয়াজ নেওয়া যায় দাম নেন ১৪০ টাকা। আর সেই পিঁয়াজ খুঁচরা বাজারে ৫ কেজি কিনতে গেলে ২২৫ টাকায় অর্থাৎ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে কিনতে হয়। মরিচ, ফুলকপি,বাঁধাকপি, মূলা,গাজর, লাউ-কুমড়া, বেগুন, করলাসহ আরো অনেক তরকারির ঐ একই অবস্থা। শরিষার তৈল সবখানেই তৈরি হচ্ছে।
অথচ! সোয়াবিনের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই শরিষার তৈল কেজি বতর্মানে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খোলা। যে শরিষার তৈল কিছুদিন আগেও ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি।
এছাড়াও সাবানসহ সব প্রসাধনী,চাল-ডাল,চিনি, আটার দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
দামুড়হুদা উপজেলায় এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ খুব শিঘ্রই দরিদ্র হয়ে যাবে। কাঁচা বাজারে একেক জনের নিকট একেক দাম। পাইকারী ওখুচরা দোকানগুলোতেও নিত‍্যপণ‍্যের দাম বৃদ্ধি।
বাজার করতে আসা হাসান আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন বাজারে আসতে ভয় করছে। দু আটি পালংশাকের দাম ২০ টাকা, উচ্ছে কেজি ১২০ টাকা। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষজন হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান কৃষকদের নিকট যে দরে আমরা কিনি তার চেয়ে ২/৩ টাকা বেশি দরে আমরা বিক্রি করি। কাঁচামাল পচনশীল। অনেক মাল নষ্ট হয়ে যায়।
এব‍্যাপারে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে জেলায় মিটিং হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.