চীনকে মোকাবিলায় এবার ভিয়েতনামকে কাছে টানছে যুক্তরাষ্ট্র

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্পর্ক জোরদারে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিনহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আলোচনা করেন তারা। আলোচনার পর ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা করছি।’
ভিয়েতনামে ব্লিঙ্কেনের এমন সফর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মূলত এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রোধেই ওয়াশিংটনের এই উদ্যোগ।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারে ভিয়েতনামকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের সঙ্গে দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কেন্দ্র করে অঞ্চলটিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
অংশীদারিত্ব জোরদারের প্রতিশ্রুতি
দুই দেশই একে অপরের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অসাধারণ উন্নতির প্রশংসা করেন ব্লিঙ্কেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জানান, আলোচনায় মানবাধিকারের ওপর গুরুত্ব দেন চিনহ ও ব্লিঙ্কেন।
চিনহ বলেন, ‘দুই দেশ থেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চলছে।’
গত মাসে ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দলের নেতা নগুয়েন ফু ট্রোং এর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টেলিফোন আলোচনার পর এমন কথা বলেন তিনি।
চীনের প্রভাব মোকাবিলা
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চীনের সঙ্গে ভিয়েতনামের বিরোধ চলছে। এ বিরোধকে কাজে লাগিয়েই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় চীনের প্রভাব মোকাবিলা করে মার্কিন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে ওয়াশিংটন।
এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্প্রতি হ্যানয়ে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনে ১২০ কোটি ডলার ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করছে ভিয়েতনামও।
দক্ষিণ ভিয়েতনাম থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ১৫ বছর পর হঠাৎ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিতে মনোযোগী হলো দেশ দুটি।
উল্লেখ্য, ভিয়েতনাম যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। (সূত্র: ডয়েচে ভেলে)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.