চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি – ধর্মমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিনির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং বাজার স্থীতিশীল রাখার জন্য চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় চিনি শিল্প ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের পক্ষ হতে তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই চিনির চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ দেশেই যতটুকু চিনি। খেতে বলা হয় তার চেয়ে বেশি চিনি খাওয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশন(আইএসও) এর তথ্য মতে, ২০০১ সালে বিশ্বব্যাপী চিনি খাওয়ার পরিমাণ ছিলো ১২৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে দাঁড়ায় ১৭২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন। গত ৫ দশকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে চিনি গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বছরে আমাদের চিনির চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ৮০ হাজার মেট্রিক টন। চিনি উৎপাদনের এই চিত্রটি আমাদের জন্য নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক। এদেশের চিনি শিল্প ও আখচাষীদেরকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করবেন বলে চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের সভাপতি ও পঞ্চগড়-১ সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম, পরিচালক এটিএম কামরুল ইসলাম তাং, খোন্দকার আজিম আহমেদ, মোঃ আতাউর রহমান খান, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বাদশা প্রমূখ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি লিয়াকত হোসাইন লায়ন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.