চা-বিক্রেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে, আমার বেলায় হিংসা কেন?

 বগুড়া প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হিরো আলম মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এমন খবর প্রকাশ হতেই চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এই তারকাকে নিয়ে বিদ্রুপের ঝড় উঠে। নানা জায়গায় নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

তবে এসব আলোচনা-সমালোচনাকে বিন্দুমাত্র আমোলে নিচ্ছেন না বগুড়ার নায়ক হিরো আলম। বরং এই ব্যঙ্গকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি অনুপ্রেরণা হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদাহরণ টেনেছেন।

তার কথায়, ‘চা-এর দোকানদার থেকে নরেন্দ্র মোদি ভারতের মতো একটি বড় দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আমি সংসদ নির্বাচনে লড়াই করতে চাইলে হিংসা হয় কেন? আমি এদেশের নাগরিক। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আমিও ভূমিকা রাখতে পারি।’

এক সময় বগুড়ায় সিডির ব্যবসা করতেন হিরো আলম। ঢাকায় এসে শুরু করেন ডিস লাইনের ব্যবসা। এরপর নিজের খরচে বেশ কিছু মিউজিক ভিডিও-শর্টফিল্ম  বানিয়ে, সেগুলো ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করে রাতারাতি দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।

সেই হিরো আলম এখন নিজেকে আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে মনে করেন। দেশের ছবিতে কাজ করেছেন। ডাক পেয়েছেন বলিউড এবং কলকাতার ছবিতেও। বলেন, ‘ফেসবুকে আমার প্রায় সাড়ে তিন লাখ ফলোয়ার। অথচ আমাকে অনেকে ব্যঙ্গ করছেন।’

আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি বলেন, ‘হিরো আলম জীবনে কারো কোনো ক্ষতি করেনি। মানুষকে কথা দিয়েছিলাম, আবার নির্বাচনে নামলে জাতীয় সংসদের ভোটে প্রার্থী হব। এ জন্যই মনোনয়ন ফরম কিনেছি। হিরো আলম কাউকে কোনো কথা দিলে তা রাখে।’

হিরো আলম তার এলাকায় মেম্বার প্রার্থী হয়ে একাধিকবার নির্বাচন করেছেন। প্রতিবারই হেরেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বগুড়া-৪ আসনের মনোনয়ন চেয়ে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ফরম জমা দিয়েছেন।#

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.