চারঘাটে একদিকে মাদকমুক্ত সচেনতা, অপর দিকে মাদক কারবারিদের সাথে সখ্যতার অভিযোগ ওসি’র বিরুদ্ধে


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর চারঘাটে একদিকে মাদকমুক্ত সচেনতা, অপর দিকে মাদক কারবারিদের সাথে সখ্যতার অভিযোগ ওসি’র বিরুদ্ধে চারঘাটে একদিকে মাদকমুক্ত সচেনতা, অপর দিকে মাদক কারবারিদের সাথে সখ্যতার অভিযোগ ওসি’র বিরুদ্ধে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নে হলিদাগাছি ও সরদহ রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় জেরা পুলিশ সুপার এর নিদেশর্নায় চারঘাট মডেল থানা পুলিশ এবার মাদকমুক্ত ও সচেনতা বৃদ্ধি লক্ষে এলাকায় অভিযান করলেন ওসি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সর্বতস্তরের সাধারন মানুষ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে ওসির নিদের্শনায় আব্দুল লতিফ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সর্বতস্তরের সাধারন মানুষ একত্রে নিয়ে হলিদাগাছি ও সরদহ রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের চিহ্নিত করে নিজ নিজ বাড়ি গিয়ে মাদকের নেশা যুব সমাজ ধংস হওয়ার কারন ও কুৃফল দিকগুলো মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের সচেনতা করেন।
উপজেলার হলিদাগাছি গ্রামের আব্দুল মজিদ এর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫২) ও চারঘাট বড়বড়িয়া গ্রামের মৃত জেরাফত উল্লাহ ছেলে নেক আলম (৫০) কে ২ বছর মাদক মামলা সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বাবা বলেন, তাদের বউ ও ছেলে মেয়ে আছে , আমি গরীব মানুষ আমি চলবো না তাকে দেখবো।
সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে হয়ে এলাকাকে বাঁচান ওসি সাহেব। সরদহ রেলস্টেশন পাশের্ব প্রায় চারশতাধিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের সাধারন মানুষ একত্রে মাদক প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সচেনতা বৃদ্ধি লক্ষে আলোচনা সভা এবং কমিটি গঠন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ২নং ওয়ার্ডেও সাবেক মেম্বার ইমরান আলী, সাবেক মেম্বার গিয়াস খান,বতর্মান ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজনেবক আরমান হাজী, নাজিমুদ্দিন, নুরুল হক, শিক্ষক আইযুব আলী, সোনার দেশ চারঘাট প্রতিনিধি ও চারঘাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাচ্চুসহ এলাকার জনসাধারন।
জনসমুখে মাদক ব্যবসায়ী রঙিলা,মুনজু ও আবরাত এর বাড়ি মাদক ব্যবসা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি আছি, থাকবো আপনাদের সাথে, সকলের সহযোগিতা কামনা করি। মাদক মামলাসহ মাদক আসক্তা হয়ে অনেকের বাবা-ছেলে নষ্ট হয়েছে এবং পরিবারে অশান্তি কলহের জের ধরে কেউবা মারাও গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি ইউনিয়নে উপজেলায় পযার্য়ক্রমে মাদক ব্যবসায়ী গডফাদাদের নামের তালিকাসহ সবাইকে গ্রেফতার করার আশ্বাস দেন তিনি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে নাম প্রকাশ করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানায়, চারঘাট থানা অঞ্চল ভাসছে মাদকে। এর মধ্যে ইউসুফপুরে বড় বড় মাদক কারবারিরা চারঘাট থানা পুলিশ ও ওসির সাথে সখ্যতা রেখে প্রকাশ্যেই চালাচ্ছে তাদের নিত্যদিনের কর্মকান্ড ভারত থেকে মাদকের আমদানী ও বেঁচাকেনা। এরমধ্যে সরাসরি ওসির সাথে মাসিক লাখ লাখ চুক্তি করে প্রতিদিন ভারত সিমান্ত থেকে নৌকা যোগে হাজার হাজার বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল ও ইয়াবা ও গাঁজার চালান তুলছে মাদক কারবারি রনি ও তার পার্টনার হা করা মাহফুজ। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারা বলছে একাধিক মাদক মামলার আসামী এই দুই কুখ্যাত মাদক কারবারি  রনি ও তার পার্টনার হা করা মাহফুজ। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিপদ। পুলিশি ঝামিলা থেকে শুরু করে স্থানীয় হামলারও ভয় রয়েছে।
কুখ্যাত এই দুই মাদক কারবারি রনি ও তার পার্টনার হা করা মাহফুজ চারঘাট থানার শ্রীখন্ডা গ্রামের বাসিন্দা।
মাদক কারবারিদের মদদ দেয়ার ব্যপারে জানতে মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেল ৫.৫৪ মিনিটি চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.