চাঁপাইনবাবগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের লোপাট হওয়া টাকা উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: অবশেষে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সোনালী ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখা থেকে লোপাট হওয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে এই টাকা কিভাবে উদ্ধার হয়েছে, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তার কোন রহস্য উদঘাটন হয়নি এখনো। এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক শিবগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক বা অন্যান্য কর্মকর্তারাও মুখ খুলছেন না।

শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক লাভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম ও ৫ম শ্রেণির ৪২ জনের শিক্ষাবৃত্তি বাবদ ১ লাখ ৪ হাজার ৮০ টাকা লোপাট হওয়া টাকা রবিবার জানাজানি হওয়ার পর সোমবার সকালে মাদ্রাসার সুপারের কাছে নগদ টাকা বুঝিয়ে দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. জবিউল ইসলাম।

তিনি এর রহস্য ধামাচাপা দিয়ে রেখেই শুধু টাকাগুলো মাদ্রাসা সুপার আবু বাক্কার সিদ্দিক এ হাতে দিয়ে টাকা বুঝিয়া পাইলাম মর্মে একটি লিখিত করে নেন।

উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংক এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ শাখা থেকে উপজেলার সাবেক লাভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম ও ৫ম শ্রেণির ৪২ জনের উপবৃত্তি বাবদ ১ লাখ ৪ হাজার ৮০ টাকা লোপাট হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওই মাদ্রাসা সুপার আবু বাক্কার সিদ্দিক বিল তৈরী করে উপজেলা শিক্ষা অফিসের স্বাক্ষর করে শিবগঞ্জ ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়।

রবিবার সকালে খোঁজ নিতে আসলে সেই বিলের কাগজের কোন খোঁজ না পাওয়ায় হিসাব সহকারীকে বিষয়টি দেখতে বলেন। পরে হিসাব সহকারী বলেন, আপনার বিল জমা হয়ে গেছে। ব্যাংকে খোঁজ নেন। তার কথা মত ব্যাংকে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, কে বা কারা উপবৃত্তির টাকা তুলে নিয়ে চলে গেছে। তবে কে বা কারা টাকা তুলেছে নিশ্চিতভাবে তা বলতে পারেনি ব্যাংক কর্মকর্তারা।

সচেতন মহল ধারণা করেন, ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই এ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজস ছাড়া কোনভাবেই ব্যাংকের টাকা উত্তোলন করা সম্ভব নয়। সাবেক লাভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ব্যাংকে উত্তোলন করতে হয়ে প্রতিষ্ঠানের সীল ও সই লাগে।

কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠানের কোন সীল ও সই ছাড়াই ব্যাংক কর্মকর্তারা কথিত ব্যক্তির সাথে যোগসাজসেই শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১ লাখ ৪ হাজার ৮০ টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার জবিউল ইসলাম জানান, ১ লাখ ৪ হাজার ৮০ টাকা উত্তোলনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। কিন্তু বিলে এই ব্যাংক কর্মকর্তার সই রয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.