চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর কাজী রাসেল, কম্পিউটার না জেনেও প্রক্সিতে স্ত্রী


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: ‘চাকুরী যখন সোনার হরিনের মত’, একটি চাকুরীর জন্য বেকার যুবকরা হন্যে হয়ে ছুটছেন। ঠিক তখনই একজনই করছেন ২স্থানে চাকুরী।
নিজে ২ অফিসে নিয়োগ নিলেও স্ত্রীকে দিয়ে প্রক্সি দিচ্ছেন। কিন্তু কম্পিউটার না জানলেও দায়িত্ব পালন করছেন ইউডিসি’র উদ্যোক্তা হিসেবে। অভিজ্ঞতা নিয়ে চাকুরীতে নিয়োগ হয়, এখানে উল্টো, নিয়োগ নিয়ে তারপর প্রশিক্ষন নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জণের চেষ্টা।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কম্পিউটারের ব্যবহার না জেনেও ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে স্বামীর দায়িত্বে স্ত্রী এবং তার স্বামী একই সাথে ইউডিসি’র উদ্যোক্তা ও উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর ও মনকষা ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মনকষা ইউনিয়নের হাঙ্গারিপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে কাজী রাসেল ইমন। বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করায় কাজী রাসেল ইমনের স্ত্রী মুরশাবা সাথী দায়িত্ব পালন করছেন ইউডিসি’র উদ্যোক্তা হিসেবে। অথচ কম্পিউটারের কোন ব্যবহারি জানেন না ইমনের স্ত্রী সাথী। তাই এখন একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে নিচ্ছেন প্রশিক্ষণ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টার-ইউডিসি’র উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১০ সাল থেকেই কাজ করছেন কাজী রাসেল ইমন।
পরে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী হতে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত ইনফু-২ প্রকল্পে কাজ করেন ইমন। এরপর হতে একসাথে উপজেলা পরিষদে অপারেটর ও ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ইমন উপজেলায় নিয়মিত হলে গত ৫-৬ মাস আগে ইউডিসি’র দায়িত্ব দেন স্ত্রী মুরশাবা সাথীকে।
কাজী রাসেল ইমনের স্ত্রী মুশরাবা সাথী কম্পিউটার ব্যবহার জানেন না, বিষয়টি নিশ্চিত করে মনকষা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুর রাকিব বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কম্পিউটার না জানায় সাথী এখন একটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সাথীর সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে রোকনুজ্জামান। তারা দুইজন একসাথে ইউডিসি’তে কাজ করে। মুশরাবা সাথীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
একসাথে দুই অফিসে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করে বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর কাজী রাসেল ইমন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পরিবারের অভাব-অনটনের কারনে দুই অফিসেই কাজ করছি। কোন জায়গায় আমার চাকুরি স্থায়ী নয়। এসময় তিনি চাকুরি স্থায়ী করনে যাতে কোন বাধা না হয় সেই জন্য সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানান।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব-আল-রাব্বি মুঠোফোনে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, মনকষা ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে আলাদা উদ্যোক্তা আছে। তবে ইমনকে উপজেলা পরিষদের কাজের জন্য রাখা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.