চলছে বেআইনি LPG সিলিন্ডার বিক্রয়, ঘটছে অগ্নিকান্ড, হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব

প্রতীকী ছবি
নোয়াখালী প্রতিনিধি: গতকাল সোমবার (২২ জুন) ঘটে গেছে নোয়াখালী হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট বাজারে অগ্নিকান্ড। ১৫টি দোকান পুড়ে যাওয়া, তিন ব্যাক্তির পোড়া লাশ উদ্ধার, ও, ঘটেছে হতাহত। আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) আমরা নোয়াখালী হাতিয়া সহ সুবর্ণচরে বেশ কয়েকটি বড় বাজার ছাড়াও পাড়ার বিভিন্ন মোড়ের দোকান ঘুরে এসে জানিয়েছে, তারা LPG গ্যাস বিক্রি করে চলেছে দোকানীরা। আবার পাশাপাশি রেখেছেন অকটেন, পেট্রোল সহ দাহ্যপদার্থ। যা ঘোর আইন বিরোধী।
হাতিয়া ছাড়াও সুবর্ণচরের বেশকিছু হাট- বাজারে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ। ফলে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে উপজেলার বাজারসমূহে। অন্যদিকে অনুমোদিত পেট্রলপাম্প ছাড়া পেট্রলজাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে এলাকার মোড়ে মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি জারিকেন ও বোতলে পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে।
আর গতকাল সোমবার (২২ জুন) হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট বাজারের ১৫টি দোকান, ৩ জন আগুনে পুড়ে নিহত ও বেশকয়েকটি হতাহতের পিছনে শুধুমাত্র এ কারণই দায়ী!
সুবর্ণচর ও হাতিয়া ঘুরে দেখা গেছে যে দোকানদার এক লিটার অথবা দুই লিটারের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রল ভরে দোকানের ভিতরে/বাইরে টেবিলের ওপর পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রল কিনতে পারছে। অথচ দাহ্য পদার্থ পেট্রল বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হয়। বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল, মবিল বিক্রির জন্য কমপক্ষে ফ্লোর পাকাসহ আধপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে।
একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য। অথচ বেশিরভাগ দোকানেই নেই অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। যাদের আছে, সেগুলাও মেয়াদোত্তীর্ণ। যা নামমাত্র রাখা হয়েছে। কেউ কেউ না জেনে নামমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে যাচ্ছে। এ অনিয়ম যেন, নিয়মে পরিনত হয়েছে। এসব ধরনের দুর্ঘনার পাশাপশি সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে প্রতিবছর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কিছু বাজারে চায়ের দোকান, মুদি দোকান, ক্রোকারিজ ও কসমেটিকস দোকান মালিকরা পর্যন্ত খোলামেলা অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও ব্যবহার করে আসছে।
গতকাল অগ্নিদুর্ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখাকেই স্থানীয়রা দাবী করেন। তারা জানান, এই ঘটনার পর থেকে সর্বদা আতংক বিরাজ করছে।
সুবর্ণচর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা নূর নবী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই জ্বালানি তেলের দোকান ছিল।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.