চট্টগ্রামে ২০১৮ সালে নাশকতার মামলায় বিএনপি’র ৩২ নেতাকর্মী কারাগারে

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নাশকতার ১৩টি পৃথক মামলায় বিএনপি’র ৩২ নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন। এসব মামলায় আরও ১৮ বিএনপি নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।

২০১৮ সালে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা এসব মামলায় আসামীরা এতদিন উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।

কারাগারে পাঠানো বিএনপি নেতাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন: নগরীর বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, যুগ্ম সম্পাদক মো. আবসার উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক লিয়াকত আলী জসিম, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন আলম, সহ সভাপতি নেজাম উদ্দিন, মহানগর যুবদলের ধর্ম সম্পাদক মহিউদ্দীন মুকুল।

ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আমরা এর বিরোধিতা করি। পরে শুনানি শেষে আদালত ৩২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় ১৮ জনকে জামিন দিয়েছেন।

এদিকে বিএনপির এই নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর আদালত চত্বরে তাৎক্ষণিক এক সমাবেশের আয়োজন করে নগর বিএনপি নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সামনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একতরফা নির্বাচন করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের জেল হাজতে পাঠানোর নতুন জুলুম কৌশল ধরেছে সরকার। অনির্বাচিত একদলীয় সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি-দুঃশাসন সরকারের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। কিন্তু, সেই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনও মামলাও হয় না, সাজাও হয় না। অন্যদিকে, গায়েবি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকার পরও জামিন শুনানি করতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সরকারের নির্দেশে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশে এখনও করোনাকাল চলছে। তাই সরকারের সামাজিক দূরত্ব রেখে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও  আদালতে সেই নির্দেশ না মানা হচ্ছে না। বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন বাতিল করে কোর্ট হাজতে একটি আবদ্ধ ছোট কক্ষে শতাধিক আসামিকে একসঙ্গে রাখা হচ্ছে।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, এই সরকার হচ্ছে একটি স্বৈরাচার সরকার। এই করোনাকালীন সময়েও সাধারণ মানুষ এই সরকারের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, মিথ্যা মামলা হামলা নির্যাতন করে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেলহাজতে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন এই বিএনপি নেতা।

এসময় আইনজীবীদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ইফতেখার হোসেন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, অ্যাডভোকেট এসএ সেলিম, অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল আলম চৌধুরী মারুফ, অ্যাডভোকেট জাহিদ বিন রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সং বাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স..জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.