ঘূর্ণিঝড় ‘ফেথাই’: গুড়িগুড়ি বৃষ্টি, উত্তাল সাগর, বন্দরে সংকেত

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ফেথাই বঙ্গোপসাগরে এসে আরো শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে সাগর এখন উত্তাল।

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর বলছে, ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে এ ঝড় ধীরে সুস্থে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। তবে ফেথাই বাংলাদেশের দিকে আসার তেমন কোনো আশঙ্কা আবহাওয়াবিদরা দেখছেন না।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার এবং ভারতীয় আবহওয়া দফতরের পূর্বাভাস সঠিক হলে ‘ফেথাই’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সোমবার বিকেল নাগাদ কাকিনাদা এলাকা দিয়ে অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

শুক্লপক্ষের মাঝামাঝি অবস্থায় আবহাওয়ার মতিগতি আরো শক্তি সংগ্রহের জন্য অনুকূল না হওয়ায় উপূকলে আঘাত হানার আগে খানিকটা শক্তি হারাতে পারে ফেথাই। তাতে প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ফেথাই নেমে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের কাতারে।

তখনও বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে এ ঘূর্ণিঝড় ওইদিনই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

গতকাল ১৬ ডিসেম্বর রবিবার  রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফেথাইয়ের অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।#

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.