গানের প্রতিযোগিতায় ইসরাইলি গায়িকা, সুইডেনে প্রবল বিক্ষোভ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতায় ইসরাইলের প্রতিযোগীকে অংশ নিতে দেয়ার প্রতিবাদে সুইডেনে বিশাল বিক্ষোভ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সুইডেনের মালমোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ এই প্রতিবাদ জানান।
ইভেন্টের নাম ইউরোভিশন সং কনটেস্ট। এই গানের প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে হাজার হাজার মানুষ সুইডেনের মালমোতে পথে নামেন। তার মধ্যে পরিবেশ নিয়ে আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। এ প্রতিবাদের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইসরাইলের প্রতিযোগী এডেন গোলান তার গান ‘হ্যারিকেন’ গেয়ে মানুষের ভোটেই প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছান।
সুইডেনের মালমোতে এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে। সেখানে প্রতিযোগিতার জায়গার চারপাশে কংক্রিটের ব্লক বসানো হয়েছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবাদকারীদের মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকার রংয়ের স্মোক ফ্লেম জ্বালান। তারা ইসরাইল-বিরোধী স্লোগান দেন।
এই মিছিলের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তারা শনিবার ফাইনালের আগে আবার মিছিল করবেন। ইসরাইল সরকার তাদের দেশের নাগরিকদের সাবধান করে দিয়ে বলেছে, তাদের আক্রমণ করা হতে পারে। তারা যেন সতর্ক থাকেন। এডেন গোলান যখন ড্রেস রিহার্সাল দিচ্ছিলেন, তখনই বিদ্রুপধ্বনি শোনা যাচ্ছিল।
গানের এই প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা হলো ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)। তারা জানিয়েছে, ইসরাইল-হামাস লড়াইয়ের পর ইসরাইলের প্রতিযোগীকে নেয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গোলানকে তার গানের নামও বদল করতে হয়েছে। প্রথমে তার গানের নাম ছিল ‘অক্টোবর রেইন’। ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের ভিতরে ঢুকে আক্রমণ করে। তার সঙ্গে মিল থাকায় গোলানকে তার গানের নামবদল করতে বলা হয়।
ইবিইউ জানিয়েছে, ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এই বছরের প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.