‘গাধা জল ঘোলা করে খায়’ বিএনপির নির্বাচনে আসা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গাধা জল ঘোলা করে খায়। ২০১৮ সালেও গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছিল। নির্বাচনের বহু আগে থেকে আমরা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না বলে এসেছিল। পরে গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছে। নির্বাচনে গেছে।’
রবিবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে আসন্ন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘এবারও উনারা বলছেন নির্বাচনে যাবেন না। কিন্তু বিএনপির অনেক নেতাকে আমি জানি, চিনি, শুনি। মির্জা ফখরুল সাহেব যাই বলুন, বিএনপির নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে আছে।’
এদিন সকালে জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর কথা উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি একটু আগে সেই প্রোগ্রাম থেকে এসেছি, যেখানে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের শিকার, নিহতদের পরিবার এবং আহতদের আর্তনাদ পুরো মিলনায়তনকে কাঁদিয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকরা সেখানে ছিলেন, তারা কেঁদেছেন। আমি নিজে কাঁদতে বাধ্য হয়েছি। সাংবাদিকরা কেঁদেছেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে তারও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বক্তা তার বক্তৃতায় বলেছেন, আমরা যেন আমাদের জীবদ্দশায় আমার স্বামী বা আমার সন্তান বা আমার পিতা হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি। ১৯৭৭ সালে বিনা বিচারে নিহতের সন্তানরা বলেছেন, আমার বাবার কবর কোথায় আমি জানি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা দাবি দিয়েছেন, তারা যেন তাদের বাবার কবর কোথায় সেটি জানতে পারেন এবং এই হত্যাকাণ্ডের যাতে বিচার হয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান হাজারো সেনা সদস্যকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে যারা অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য করেছিল, বিএনপি সেই দল। যারা মাঠে গিয়ে বোমা নিক্ষেপ করেছে, শুধু তারা নয়, এগুলোর পেছনে অর্থায়ন আছে, হুকুমদাতা আছে। বিএনপির হুকুমদাতা আর অর্থদাতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটি সময়ের দাবি এখন এবং যাদের আর্তনাদ শুনেছি তাদের দাবি।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.