গাজার নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেওয়া অন্যায় : স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্কটল্যান্ডের সরকারপ্রধান হামজা ইউসুফ বলেছেন, ইসরাইল ও গাজার চলমান সহিংসতার মধ্যে তার শ্বশুর-শাশুড়ি গাজায় আটকা পড়েছেন। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরাইলে হামাসের হামলার নিন্দা করে জানান, তার শ্বশুর-শাশুড়ি স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে বসবাস করেন। তার স্ত্রীর অসুস্থ দাদিকে দেখতে গাজায় গিয়েছিলেন।
এদিকে ইসরাইলিরা হামজার শ্বশুর-শাশুড়িকে গাজা থেকে চলে যেতে বলেছেন।
কিন্তু ইউসুফ জানান, তাদের বেরোনোর কোনো উপায় নেই। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও নিরাপদ পথের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।
হামজা জানান, তিনি ও তার স্ত্রী দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তারা সেখানে বাঁচবেন না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। হামাসের সঙ্গে তার পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান হামজা ইউসুফ।
হামজার স্ত্রী নাদিয়া এল-নাকলার মা-বাবা প্রায় এক সপ্তাহ আগে গাজায় যান। এই সপ্তাহান্তে হামাস যখন ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায়, তখন তারা সেখানেই ছিলেন। হামলায় ইতোমধ্যে শত শত লোক নিহত হয়েছে।
ইউসুফ হামাসের ‘অযৌক্তিক’ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমরা যা দেখছি তা হলো, অনেক নিরপরাধ মানুষ তাদের জীবন হারাচ্ছে। একজন নিরীহ ইসরাইলির জীবন আমার কাছে একজন নিরপরাধ ফিলিস্তিনির জীবনের সমান। গাজার নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেওয়া অন্যায়।
গাজায় প্রায় ২৩ লাখ লোক বাস করে, যাদের ৮০ শতাংশ সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলায় সেখানে পাঁচ শতাধিক লোক মারা গেছে এবং অঞ্চলটি এখন একটি নতুন মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে যাচ্ছে।
স্কটিশ সরকারপ্রধান বলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, কেউ তাদের কোথাও নিরাপদ উত্তরণের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
এদিকে শনিবার সকালে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইউসুফের শ্যালকও দুই মাস বয়সী একটি শিশুসহ তার চার সন্তানের সঙ্গে গাজায় থাকেন। বাচ্চার দুধ ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং বাকিদের জন্য মাত্র দুই দিনের সরবরাহ আছে বলে হামজা উল্লেখ করেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.