গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের খোরিয়ার চর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে যৌতুকের জন্য এক গূহবধূকে স্বামী,ভাসুর ও শাশুড়ি মিলে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতিত গৃহবধূ রিক্তা বেগমকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, খোরিয়ার চর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের জনৈক বাবলু মিয়ার সাথে ২০০৯ সালে একই উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম কোমরনই গ্রামের মরহুম ইদু মিয়ার মেয়ে রিক্তা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রিক্তা বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে ব্যবসা করার জন্য যৌতুক হিসেবে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়।
রিক্তা বেগম বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলে। শুধু তাই নয়,ঘটনার দিন রিক্তার স্বামী বাবলু মিয়া, ভাশুর লাভলু মিয়া, শাশুরী লাইজু বেগম, দেবর অনিক হাসান লেবু কর্তৃক রিক্তা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারপিট করে।
সম্প্রতি রিক্তার বাবা ইদু মিয়া আকশ্মিকভাবে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু বরণ করলে পরিবারের লোকজন অসহায় হয়ে পড়ে।
এ বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা স্মৃতির সমঝোতায় একাধিক বার সমাধান করা হয়।
কিন্তু’ কয়েক দিন যেতে না যেতেই নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
শুধু মাত্র রিক্তার স্বামী বাবলু মিয়াই নয়, বাবলুর বড় ভাই লাভলু মিয়া ও বাবলুর মা লাইজু বেগম একে অপরের সহযোগিতা নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক মারপিট করে মারাত্মক আহত করে।
গৃহবধূ রিক্তা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে রিক্তা বেগমকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে রিক্তা বেগম শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.