গাইবান্ধায় কিডনি পাচার চক্রের সদস্য গ্রেফতার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: চাকরী দেয়ার কথা বলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আব্দুল ওহাব নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে কিডনি পাচারের ঘটনায় রায়হান আলী (৩৯) নামে পাচারকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল সোমবার (১৬ নভেম্বর) গাইবান্ধার পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চাকরী দেয়ার কথা বলে ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সোহালী গ্রামের আব্দুল মজিদ সরকারের ছেলে আব্দুল ওহাবকে ডেকে নেয় পূর্ব পরিচিত একই উপজেলার পশ্চিম বানিহালি গ্রামের নুর আলমের ছেলে রাকিবুল হাসান।
এরপর ওহাবের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওহাবের বাবা মজিদ সরকার বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করে। একই বছরের ২২ নভেম্বর রাকিবুল ঢাকার গাজীপুরে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ওহাবকে কিডনি পাচার চক্রের হাতে তুলে দেয়ার তথ্য জানায়।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই মামলাটি পিবিআই তদন্তভার নেয়ার পর কিডনি পাচার চক্রের আরেক সদস্য রায়হানের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়। পরে গত ১৩ নভেম্বর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালতে নেয়া হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় রায়হান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আব্দুল ওহাবকে ডেকে নেয়ার পর রাকিবুল তাকে রায়হানের কাছে হস্তান্তর করে। পরে রায়হান সান এন্টারপ্রাইজের মালিক কবিরের সহযোগিতায় ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওহাবকে ভারতে পাঠায়। সেখানে দীর্ঘদিন আটকে রাখার পর একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে ওহাবের কিডনি বের করে নেয়া হয়।
গ্রেফতার রায়হান আলীর বাড়ি গাজিপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার নাগপলাশতলী। রায়হান নাগপলাশতলী এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.