গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অমান্য 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দরপত্র ছাড়াই প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলার ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন মামলা করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অমান‍্য।
জানা যায়, উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার জামিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও বতর্মান সভাপতি আঃ সোবহান ৩০ শতক জমি লিখে দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু বতর্মানে উক্ত বিদ্যালয়ের নামে মাত্র ৯ শতক জমির কাগজপত্র পাওয়া যায়। বাকী জমির কাগজপত্রের কোন হদিস নেই।
উক্ত বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ায় পুরাতন ভবনটি নিলামের জন্য দরপত্র প্রকাশ করা হয়। সরকারি মূল্য অনুযায়ী নিলাম না হওয়ায় পরবর্তীতে বতর্মান বছরের ৬ জানুয়ারী পূনরায় নিলামের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু  বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সোবহান সু-কৌশলে এলাকায় নিলাম হওয়ার গুজব ছড়িয়ে সময়ের আগেই গত ৩ ও ৪ জানুয়ারী বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের দুটি কক্ষ ভেঙে ফেলেন। 
উক্ত খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান নয়ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজুমান ফারজানা সাথী ও অভিযুক্ত সভাপতি আঃ সোবহানকে ডেকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পায় এবং ৬ জানুযারী বিদ্যালয়ের ভবনটি সরকারি দরপত্র (নিলাম) স্থগিত করে দোষীর বিরুদ্ধে দুই দিনের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশের  ২৬ দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে আজও মামলা করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা খাতুনবলেন, বিদ্যালয়ের জমির সংকট রয়েছে। তাই আগে জমির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় ৩০ শতক জমির দলিল দেখিয়ে বিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। ৯ শতক জমির কাগজপত্র দেখিয়ে কিভাবে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলো এ নিয়ে আমারও সন্দেহ  রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বিটিসি নিউজকে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি আঃ ছোবাহান ও প্রধান শিক্ষক আরজুমান ফারজানা সাথী-কে নির্দেশ  দিয়েছিলাম। যেহেতু তাহারা কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সেহেতু সরকারী বিধি মোতাবেক তাদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.