গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় অনঅভিজ্ঞ পশুচিকিৎসকদের দৌরাত্ম্য ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পশু চিকিৎসার নামে এরা গ্রামগঞ্জের সহজ সরল মানুষদের ঠকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। এসব হাতুড়ে পশু চিকিৎসকদের ডাকলেই এরা কোন কিছু না বুঝেই প্রথমে গিয়েই ইনজেকশন পুশ করেন।
তারপর অনেকগুলো নিম্নমানের কোম্পানীর ওষুধ লিখে একটি লম্বা ফর্দি গরুর মালিকের হাতে ধরিয়ে দেন। এরপর ইনজেকশন পুশের বিনিময়ে গরুর মালিকের নিকট থেকে আদায় করেন ৫ ‘ শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। কিন্তু কি ইনজেকশন দিয়েছে তার এ্যাম্পুল কিংবা কোন কিছু দেওয়া হয় না গরুর মালিককে। শুধু বলা হয় গরু এখন সেরে যাবে।
এরপর গরুকে বীর্য দেওয়ার নামে চলে তেলেসমাতি কারবার । কোনো গরুর মালিক যদি তার গাভিকে বির্য দিয়ে নেয়। তখন এইসব হাতুড়ে পশু চিকিৎসকেরা বলেন, ‘কোন দেশের বির্য গাভিকে দিয়ে নিবেন ‘।
গরুর মালিক বলে ভালোটাই দেন। তখন সুচতুর হাতুড়ে পশু চিকিৎসকেরা পার্সেনের কথা বলে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পযর্ন্ত নেন। এমন অভিযোগ উপজেলার প্রায় গরুর মালিক এবং খামারিদের।
এখানেও বির্যের কোন গ্যারান্টি নেই। বির্য আটকে যেতেও পারে, আবার নাও আটকাতে পারে। এভাবে এসব পশু চিকিৎসকদের দিয়ে গাভীকে বির্য দিয়ে নিয়ে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একারণে কোন কোন খামারি কিংবা বাড়ীতে গরু লালন পালনকারীরা লাভের মুখ দেখতে পারছেন না। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.